Agitation

বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রহৃত উপপ্রধান

স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সমর ভুঁইয়া পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধান এবং উপপ্রধানকে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ০৩:২৩
Share:

অঞ্চল সভাপতির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

আমপানের পর এখনও অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এলাকায় বিদ্যুতের ভেঙে পড়া খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বৃহস্পতিবার দেশপ্রাণ ব্লকে।

Advertisement

এ দিন দেশপ্রাণ ব্লকের বসন্তিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে দলেরই টিকিটে জিতে আসা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতির ঘরের সামনে অবরোধে বসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাল্টা, দলে তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন অঞ্চল সভাপতি।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন এলাকায় বিদ্যুতের লো টেনশন তারের মেরামতের কাজ কী ভাবে হবে তা নিয়ে মিটিং চলছিল। সে সময় স্থানীয়রা বিদ্যুতের অচলাবস্থা কাটানোর দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়। ওই সময় স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সমর ভুঁইয়া পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধান এবং উপপ্রধানকে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। উপপ্রধান তুষার পাত্রকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতির বাড়ির সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন এলাকার বেশকিছু বাসিন্দা। যদিও অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির পাল্টা অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা এবং পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের নেতৃত্বে জনা কয়েক দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।’’ তবে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

Advertisement

উপপ্রধানের দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত অফিসে স্থানীয় বাসিন্দারা স্মারকলিপি দিতে এলে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অযাচিতভাবে অফিসে ঢুকে আমাকে কটূক্তি করে এবং মারধর করে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পঞ্চায়েতের ১৮ জন নির্বাচিত সদস্য বিডিওর কাছে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।’’ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা বলেন, ‘‘জেলাশাসকের নির্দেশমত এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছিলেন প্রধান এবং উপপ্রধান। তা সত্ত্বেও অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। উপপ্রধান
আক্রান্ত হয়েছেন।’’

যদিও এদিনের ঘটনায় দেশপ্রাণ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিরাজ গুড়িয়া বলেন, ‘‘সংগঠনকে গুরুত্ব না দিয়ে কিছু লোক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করছে। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঠেলাঠেলি হয়েছে। তারপর দলের অঞ্চল সভাপতির বাড়ি জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে কিছু লোক ভাঙচুর করেছে। গোটা বিষয়টি দলের জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন