প্রিয়ার বাবার হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
যে হাতে রাইফেল ওঠে, সেই হাতই বাড়িয়ে দেয় সহায়তা। অসুস্থ এক ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকা দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর বাবার হাতে এই টাকা তুলে দেন তিনি। নেতাই কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডেদের ধরার জন্য সিবিআইয়ের কাছ থেকে আর্থিক পুরস্কার পেয়েছিলেন ভারতীদেবী। সেই পুরস্কারের অর্থ থেকেই তাঁর এই সহায়তা বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তাঁর কথায়, “আমরা চাই ছাত্রীটি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।”
প্রিয়া পান নামে ওই ছাত্রীর বাড়ি কেশপুরের কাপাসটিকরিতে। আঙ্গুয়া হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়া গত জুলাই মাসে জল ভেবে জলের বোতলে রাখা অ্যাসিড খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাতে বছর বারোর প্রিয়ার খাদ্যনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক সময় টানা স্যালাইন চলেছে। এখনও তাকে তরল জাতীয় খাবার খেতে হয়। অসুস্থ অবস্থায় ছাত্রীটিকে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে এনআরএসে। প্রিয়ার বাবা মানস পানের সামান্য জমি ছিল। মেয়ের চিকিৎসার খরচের জন্য সব জমিই তাঁকে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। মানসবাবুর কথায়, “এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এখন মেয়েকে বাঁচাতে হলে একটি অস্ত্রোপচার জরুরি। সবমিলিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লাগবে।” মেয়েকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে বিভিন্ন মহলে আবেদন করেন তিনি। জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই এ দিন এক লক্ষ টাকা দিলেন ভারতীদেবী। আগামী ২২ নভেম্বর কলকাতার এক বেসরকারি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে।