সত্যসাধন বেরা (বাঁ দিকে), তরুণ দাস (মাঝে), মিলনকুমার মাল।—নিজস্ব চিত্র
দারিদ্রতা ওদের নিত্য সঙ্গী। চেষ্টা আর একাগ্রতাকে সম্বল করে উচ্চ মাধ্যমিকে সফল অমর্ষি রঘুনাথ হাইস্কুলের তরুণকুমার দাস, মিলনকুমার মাল ও ভগবানপুরের বিভীষণপুর হাইস্কুলের সত্যসাধন বেরারা।
পটাশপুর ১ ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা তরুণ উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৫৮ নম্বর পেয়েছে। বাবা নিতাইচরণ দাস কৃষক। তরুণের কথায়, “কয়েককাঠা জমিতে চাষ থেকে যে আয় হয়, তাতে আমাদের খাবারই ভাল করে জোটে না। ভবিষ্যতে কীভাবে পড়াশোনা করব, জানিনা।” বড় হয়ে আইআইটিতে অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে তরুণের।
উচ্চ মাধ্যমিকে মিলনকুমার মালের প্রাপ্ত নম্বর ৪২৮। তার বাবা স্বপন মাল বলেন, “লোকের বাড়ি দিনমজুরি করে সংসার চালাই। কখনও কোনও সাহায্য পাইনি। ভবিষ্যতে কোনও সাহায্য না পেলে ওকে পড়াবো কিভাবে জানিনা।” ভগবানপুর ১ ব্লকের পশ্চিম মাসুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সত্যসাধন উচ্চমাধ্যমিকে ৪২০ পেয়েছে। বিভীষণপুর হাইস্কুলের ছাত্র সত্যসাধন শিক্ষক হতে চায়। পড়ার মাঝে ফুটবল খেলতে ভালবাসে সে। সত্যসাধন বলে, “বাবা ভাগচাষি। সামান্য আয় দিয়ে সংসারের এত খরচ জোগানো অসম্ভব। কারও সাহায্য পেলে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবই।” বিভীষণপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন মণ্ডল বলেন, “সত্যসাধন খুব গরীব ঘরের ছেলে। নিজের অধ্যবসায়ে ও এত ভাল ফল করেছে। সাহায্য পেলে আরও ভাল করত।”