Baharampur Murder Case

পুজোর পোশাক আর হাতখরচের টাকা জোগাড় করতে খুন! পঞ্চমীর রাতে রহস্যমৃত্যুর কারণ জানল পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, বহরমপুর থানার কুদবাপুকুর এলাকায় খুন করা হয় টোটোচালককে। ঘটনার দু’দিন পরে টোটোচালকের দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার যে তিনি খুন হয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৩৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পুজোয় নতুন পোশাক ও হাতখরচের টাকা জোগাড় করতে খুন! এমনই অভিযোগে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার হলেন চার জন।

Advertisement

গত ২৭ সেপ্টেম্বর, পঞ্চমীর দিন মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের বাসিন্দা আলাইহিম শেখ টোটো নিয়ে বেরিয়েছিলেন। ওই দিনই রহস্যজনক ভাবে খুন হন তিনি। একজন টোটোচালকের সঙ্গে কার এমন শত্রুতা ছিল? তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সে দিন বাড়তি কিছু রোজগারের আশায় টোটো নিয়ে বহরমপুর গিয়েছিলেন ৩০ বছরের যুবকটি।

পঞ্চমীর রাতে আলাইহিমের টোটো ভাড়া করেন চুয়াপুরের বাসিন্দা সুজল হাজরা। তদন্তকারীদের দাবি, রাস্তায় যেতে যেতে টোটোচালককে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি। শৌচাগারে যেতে হবে বলে রাস্তায় এক বার টোটো দাঁড় করান ওই যুবক। এর পর ইচ্ছাকৃত ভাবে টোটোচালকের সঙ্গে গন্ডগোল করে তাঁকে মারধর করেন তিনি। কাছে একটি জলাশয়ের জলে চুবিয়ে খুন করা হয় ওই টোটোচালককে। এর পর আলাইহিমের টোটোর ব্যাটারি খুলে এক ভ্যানচালককে ডেকে অন্য আর এক জনের তা ১০ হাজার টাকায় তা বিক্রি করেন সুজল।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বহরমপুর থানার কুদবাপুকুর এলাকায় খুন করা হয় টোটোচালককে। ঘটনার দু’দিন পরে টোটোচালকের দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার যে তিনি খুন হয়েছেন। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। তার পরে খুনে মূল অভিযুক্ত সুজল, এক ভ্যানচালক এবং চুরি করা ব্যাটারি কেনার অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, সুজল জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, পুজোয় কেনাকাটা এবং হাতখরচের জন্য টাকার দরকার ছিল। তাই এই অপরাধ ‘করে ফেলেছেন।’ তদন্তের স্বার্থে সুজল-সহ ধৃত চার জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে আদালতে তোলা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement