—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তিনিও দাউদ ইব্রাহিম। তবে তাঁর কর্মকাণ্ড ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। কাজ, মূলত চুরির মোবাইল পাচার করা। ‘চোরা কারবারি’ সেই দাউদ অবশেষে গ্রেফতার হলেন মুর্শিদাবাদে। পাকড়াও হয়েছেন তাঁর এক সহযোগীও।
মুর্শিদাবাদ থেকে চুরির মোবাইল যাচ্ছে বাংলাদেশে। এবং চোরাই মোবাইল নেটওয়ার্কের ‘হটস্পট’ হয়ে উঠছে মুর্শিদাবাদ জেলা। এমনই অভিযোগ উঠছে বেশ কিছু দিন ধরে। এর মধ্যে শনিবার বাংলাদেশ পাচারে আগেই ১৪৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে ফরাক্কা জিআরপি (রেল পুলিশ)। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রাতে নিউ ফরাক্কা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দুই যুবককে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের ব্যাগপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে মোট ১৪৭টি মোবাইল পাওয়া যায়। পরে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতদের নাম দাউদ ইব্রাহিম এবং তহিরূপ শেখ। ২৪ এবং ২৫ বছরের দুই যুবকের বাড়ি মালদহ জেলার কালিয়াচক এলাকায়। উত্তরপ্রদেশ থেকে আপ ব্রহ্মপুত্র মেলে ফরাক্কা আসেন তাঁরা। কালিয়াচকের দিকে যাচ্ছিলেন দাউদ এবং তহিরূপ।
জিআরপি মালদহ ডিভিশনের ডিএসপি পারিজাত সরকার জানান, ওই মোবাইলগুলি মালদহের কালিয়াচক হয়ে বাংলাদেশ পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতেরা আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই পাচারচক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখছে ফরাক্কা জিআরপি। রবিবার ৭দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে দু’জনকে জঙ্গিপুর আদালতে পাঠিয়েছে ফরাক্কার জিআরপি।