পরীক্ষায় দিলেও পাস করেননি তাঁদের অনেকে। তবু, নাছোড় ছাত্রীদের দাবি, পাস করিয়ে দিতে হবে তাঁদের। আর, সেই দাবিতেই মঙ্গলবার দুপুরে ঘণ্টা দুয়েক কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। অভিযোগ, সপ্তাহ দু’য়েক আগে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ কোর্সে প্রথম বর্ষের ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় ৫০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৬২ জন পাশ করেছে। তাঁদের দাবি, উত্তরপত্র ঠিক মতো মূল্যায়ন করা হয়নি। যার ফলে এত ছাত্রী অনুত্তীর্ণ হয়েছে। অবিলম্বে ওই ছাত্রীদের পাশ করানোর দাবিতে ও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তাঁদের একাংশ ওই কলেজের অধ্যক্ষার অপসারণের দাবিও করেন।
এক কলেজ পড়ুয়া অনুশ্রী সিংহরায় বলেন, ‘‘এত ছাত্রী পাশ করতে পারবে না এ হতে পারে না। অবিলম্বে ওই ছাত্রীদের পাশ করাতে হবে। বাংলা ও ইতিহাসে গড় নম্বর দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন কলেজের অধ্যক্ষা মানবী বন্দোপাধ্যায় বলেন, “পরীক্ষা নেওয়া বা ফলপ্রকাশ এ সব বিশ্ববিদ্যালয় করে থাকে। ছাত্রীরা নিয়ম অনুযায়ী খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে।” তিনি জানান, পার্ট ওয়ান পাশ কোর্সে ২৬৪ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৮০ জন পাশ করেছেন।
অসহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে কাজ করি। তাই কেউ অপসারণের কথা বলতেই পারে। সরকার সরিয়ে দিলে আমি সরে যাব।’’ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সঞ্জীব দত্ত বলেন, “খাতা সঠিক ভাবে মূল্যায়ন হয়নি এ কথা ঠিক নয়। ছাত্রীরা নিয়ম মেনে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতেই পারে। আবার আরটিআই করে খাতা দেখার আবেদন করতে পারে।”