Fraudulence

দিল্লি-গুজরাতে ৪০০ কোটি টাকার প্রতারণা অ্যাপ খুলে! নদিয়ার যুবক গ্রেফতার মোদীরাজ্যের পুলিশের হাতে

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করে গুজরাত পুলিশ। বিশ্বজিৎ নাকাশিপাড়া থানার রামেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা। চেন্নাইয়ে বসে একটি অ্যাপ তৈরি করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ২৩:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

অনলাইন অ্যাপ তৈরি করে দিল্লি ও গুজরাতে প্রতারণাচক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার বাংলার এক যুবক। শুক্রবার নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাতের পুলিশ। ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে বিপুল অঙ্কের টাকা খুইয়ে গুজরাট ও দিল্লির একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতারিতেরা। অন্তত ৪০০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে বলে দাবি। ধৃতকে আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যায় গুজরাত পুলিশ। ধৃত যুবকের সঙ্গে চিনা প্রতারকদের যোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে।

Advertisement

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করে গুজরাত পুলিশ। বিশ্বজিৎ নাকাশিপাড়া থানার রামেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা। চেন্নাইয়ে বসে একটি অ্যাপ তৈরি করেন তিনি। বিপুল পরিমাণ রিটার্নের প্রলোভন দিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগের টোপ দেওয়া হত। প্রথমে কয়েক বার টাকা ফেরত দিলেও কয়েক মাসের মধ্যে সেই অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। এর পর বেটিং অ্যাপ থেকে শুরু করে ভুয়ো লটারি অ্যাপ তৈরি করেন ওই যুবক। অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে গুজরাত ও দিল্লির একটি চক্রের যোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

এই ঘটনার তদন্তে গুজরাত পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে। জানা গিয়েছে, প্রতারিতদের প্রায় সকলেই গুজরাত ও দিল্লির বাসিন্দা। ২০২৩ সালে প্রথম বার এই অ্যাপ প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তদন্তে নামে গুজরাতের সিআইডি। আগরা পুলিশও এই নিয়ে তদন্ত করছিল। তার পর এই প্রতারণার পর্দা ফাঁস হয়। উত্তর গুজরাটের বহু ব্যক্তি এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত বলে উঠে আসে তদন্তে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বিনিয়োগকারীই টাকা হারিয়ছেন এই অ্যাপে। দিনে প্রায় ২০ কোটি টাকা উধাও হয়েছে এই অ্যাপে। গুজরাতের ১৯ জন বাসিন্দাকে এই ঘটনায় জড়িত বলে জানিয়েছে সিআইডি।

Advertisement

প্রতারণার টাকা বিদেশে পাচার করতে ভুয়ো সংস্থাও খোলা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চিনের উইনঝাউ প্রদেশে এক প্রতারকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সার্ভার রুমের মাধ্যমে এই চক্র চালানো হত। তাই তদন্তকারী আধিকারিকদের মূল মাথার খোঁজ পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। তদন্তের দায়িত্বে থাকা গুজরাট পুলিশের কর্তা সূর্যকুমার পটেল বলেন, ‘‘আপাত ভাবে সহজ সরল মনে হলেও, এই ব্যক্তি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের মাথা। আন্তর্জাতিক প্রতারকদের সঙ্গেও অভিযুক্তের যোগ রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন