Chicken

বিয়ের মেনুতে ব্রাত্য মুরগি

বাসিন্দা পাপিয়া কুণ্ডু বলছেন, “এখনও রোগটির কোনও ওষুধই বেরোয়নি। তাই ক’দিন হেঁশেলে মুরগি না হয় নাই ঢুকল। সাবধানের মার নেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ০১:৫৮
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বিয়ের মেনুতেও। মুরগির মাংসের নানা পদ বদলে ফেলে বিয়ের ভোজের মেনুতে অন্য পদ রাখার আব্দারে জেরবার হচ্ছেন ক্যাটারাররা।

Advertisement

অথচ করোনা প্রতিরোধে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেও বারবার জনগণকে সতর্ক করার চেষ্টা করছে, মাংস থেকে এই রোগ হয় না। তবুও যেন আতঙ্ক কাটছে না জেলাবাসির। পাশাপাশি গুজবও যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি বহরমপুরের এক বিয়ে বাড়ির অতিথি স্বপন দেবনাথ জানান, “স্বাস্থ্য দফতর বলেই খালাস। কিছু হয়ে গেলে ঠেকাবে কে? তাই সাবধান হওয়াই ভাল।” কাদাইয়ের বাসিন্দা পাপিয়া কুণ্ডু বলছেন, “এখনও রোগটির কোনও ওষুধই বেরোয়নি। তাই ক’দিন হেঁশেলে মুরগি না হয় নাই ঢুকল। সাবধানের মার নেই।’’

ফাল্গুন বিয়ের মাস। শুক্রবার ছিল বিয়ের দিন। গোরাবাজারের বাসিন্দা গোপাল সাহার মেয়ের বিয়ের ক্যাটারার রঞ্জিত সাহাও বলেন, “সাবধানের মার নেই। সেই আতঙ্ক থেকেই মুরগির পদ বাদ দিয়ে পনিরের পদ করতে হয়েছে।’’ গোপালবাবুর অবশ্য দাবি, “প্রথমে মুরগি ও খাসির মাংসের দু’টো পদ ছিল। দেখলাম অনেকেরই আপত্তি, তাই মুরগি বাদ দিয়েছি।” বেশ কয়েকটি বিয়ের ভোজ খাওয়ানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন খাগড়ার ক্যাটারার মালিক রানা মজুমদার। তিনি বলেন, “অধিকাংশ বিয়ে বাড়ির মেনুতে মুরগির মাংসের পদ বাদ দিতে বাধ্য হয়েছি। তার বদলে চিলি ফিস বা চিলি পনির বা মাছের কোনও পদ দিতে হয়েছে। করোনা আতঙ্কের কারণেই এমনটা হয়েছে।’’

Advertisement

খাসির মাংসের পদের কদর বেড়েছে। কিন্তু বাজেট বাড়াতে হচ্ছে। রঞ্জিতবাবু বলেন, “খাসির মাংসের জোগান দিতে গিয়ে বাজেট বেশি হয়ে যায়। তখন যিনি খরচ করেন, তাঁর যেমন গায়ে লাগে তেমনই, আমাদের লাভের অঙ্কও কমে যায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন