Coronavirus

পুলিশ নরম হতেই নিয়ম ভেঙে সরগরম বাসিন্দারা

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার দেশে দিনকয়েক দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে। দেশে করোনার সংক্রমণ রোজই বেড়ে চলায় লকডাউনের মেয়াদ পরে বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০৩:২৪
Share:

পাড়ার মাচায় জমছে আড্ডা। নিজস্ব চিত্র

দিন কয়েক আগেও উর্দিধারীদের ভয়ে ওঁরা দরজায় খিল তুলে দিতেন। লকডাউন মানা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে পুলিশের নজরদারি কড়া দেখে গ্রামবাসীরাও ঘরের ভিতরে থাকছিলেন। কিন্তু লকডাউন কয়েক দিন গড়াতেই সেই দৃশ্য উধাও হরিহরপাড়া, নওদার বিভিন্ন গ্রামে। অভিযোগ, পুলিশের নজরদারি শিথিল হওয়ায় সকাল-সন্ধে গ্রামের মাচা, চায়ের দোকানের সামনে ভিড় করছেন মাঝবয়সী, প্রৌঢ়, বয়স্করা।

Advertisement

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার দেশে দিনকয়েক দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে। দেশে করোনার সংক্রমণ রোজই বেড়ে চলায় লকডাউনের মেয়াদ পরে বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হয়। লকডাউন চলার সময় সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই বাসিন্দারা সেই পরামর্শ শুনছেন না বলে অভিযোগ। হরিহরপাড়া, নওদার বিভিন্ন গ্রামেও সেই নিয়ম ভাঙা চলছেই। হরিহরপাড়া, নওদার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট, পাড়ার মোড়ের মাচা বা চায়ের দোকানে সকাল-বিকেল ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই, যে লকডাউন চলছে। অথচ গত বুধবারও অন্য দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। ওইদিন রাস্তাঘাটে অযথা ঘোরাঘুরি করলেই পুলিশকর্মীরা কোথাও লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গিয়েছেন। কখনওসখনও অতিসক্রিয়তায় লাঠির ঘা-ও পড়েছে কারও কারও পিঠে।

তবে কি পুলিশকর্মীদের একাংশের নরম মনোভাবেই নিয়ম ভাঙা শুরু হয়েছে। হরিহরপাড়া থানার এক পুলিশকর্মী বলছিলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, কড়া মনোভাব দেখালে চলবে না।’’ সেই কারণেই বাড়তি সক্রিয় হয়ে চাকরিতে বিপদে পড়তে চাইছে না অনেক পুলিশ। নওদা থানার এক পুলিশ আধিকারিক আক্ষেপ করে বললেন, ‘‘বেয়াড়াদের শায়েস্তা করতে একটুআধটু কড়া তো হতেই হবে। কিন্তু সামান্য লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতন অফিসারদের কাছে নালিশ যাচ্ছে। কী দরকার এত ঝক্কি নেওয়ার!’’ অনেকে বলছেন, পুলিশের এই ‘নরম মনোভাবের’ জন্য একশ্রেণির অসচেতন মানুষ নিয়ম ভাঙছেন লকডাউনের। হরিহরপাড়ার বিডিও পূর্ণেন্দু স্যানাল বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। সকলেরই উচিত লকডাউনের নিয়ম মেনে চলা।’’ জেলার পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব বলেন, ‘‘আমরা সকলকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি। তবে ওঁদেরও সচেতন হওয়া জরুরি।’’

Advertisement

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন