Couple Death

বন্ধ ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য বহরমপুরে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু

মৃত দম্পতির নাতির দাবি, ডাকাডাকিতেও সাড়া না-মেলায় তাঁরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। দেখেন চাদরে ঢাকা দু’জন। চাদর সরালে দেখা যায় মুখে ক্ষতচিহ্ন। তত ক্ষণে দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৪২
Share:

বন্ধ ঘরে দম্পতির দেহ উদ্ধার। প্রতীকী ছবি।

মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার রাজধরপাড়ায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধ, বৃদ্ধার মৃতদেহ। ওই বাড়িতেই থাকতেন প্রবীণ দম্পতি। বুধবার, সকালে প্রতিবেশীরা কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। পরে বাড়ির ভেতর থেকেই উদ্ধার হয় দু’জনের দেহ। মৃতদের নাম আব্দুর রহিদ শেখ ও রিজিয়া বিবি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে খুন না আত্মহত্যা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

গ্রামবাসীরা জানান, ওই দম্পতির ছেলেমেয়েরা আলাদা থাকেন। মৃত দম্পতির নাতি রাহুল শেখ বলেন, ‘‘সকাল থেকে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে আমাদের বাড়িতে খবর দেন। আমরা ছুটে এসে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া পাইনি। তখন কয়েক জন মিলে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখি, দু’জনেই চাদরে মুখ ঢাকা অবস্থায় পড়ে আছেন। চাদর সরাতে দেখি দু’জনেরই নাকে ও মুখে ক্ষতচিহ্ন এবং দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। চাদরে বেশ কিছু জায়গায় রক্ত লেগেছিল তবে আত্মহত্যা না খুন এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।’’ দম্পতির প্রতিবেশী রেভিনা খাতুন জানান, প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের অনুমান যে, অ্যাসিড জাতীয় কিছুর কারণে মুখে ক্ষত চিহ্ন তৈরি হয়েছে।

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার জানান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশ কিছু অস্বাভাবিকত্ব থাকায় রুজু হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।

Advertisement

বন্ধ ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির কী ভাবে মৃত্যু হল তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মুখে ক্ষতচিহ্ন কেন? সকালেই গ্রামে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন