Death

Death: তিন দিনে ছয় প্রসূতির মৃত্যু

ফের দু’জন প্রসূতির মৃত্যু হল জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে দু’ঘণ্টার মধ্যে। দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের পরপরই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২২ ০৭:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ফের দু’জন প্রসূতির মৃত্যু হল জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে দু’ঘণ্টার মধ্যে। দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের পরপরই। এই নিয়ে গত তিন সপ্তাহে ৬ জন প্রসূতির মৃত্যু হল মা হতে গিয়ে। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে রক্তের অভাবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মৃত এক প্রসূতির নাম বেবি বিবি (১৭), বাড়ি রঘুনাথগঞ্জের সুজাপুর গ্রামে। অন্য জনের নাম রঞ্জিতা মণ্ডল (১৮), বাড়ি সুতির রাতুরি গ্রামে। কম বয়সে বিয়ের কারণেই তারা মা হয়ে পড়ে। ফলে তাদের প্রসব ছিল ঝুঁকির। অবশ্য দু’জনেরই শিশুরা সুস্থ রয়েছে।

গোলমালের আশঙ্কায় এ দিন সন্ধ্যা থেকেই হাসপাতাল চত্বর ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অপারেশন টেবিলে কেমন করে পর পর দুই প্রসূতির মৃত্যু ঘটল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে রাতে এ নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারেননি তাঁরা। তবে দু’টি পরিবারের পক্ষ থেকেই চিকিৎসায় গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা রয়েছে। বেবির স্বামী জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘‘ভর্তির সময় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল স্ত্রী। সিজারে কোনও বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করেননি চিকিৎসক। তারপর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পরে কী ঘটল যে, মারা গেল।’’

Advertisement

দুই প্রসূতির মৃত্যু ঘোষণার পরপরই রাতেই দুই পরিবারের কয়েকশো মানুষ জমায়েত হয় হাসপাতালে। বৃষ্টি হচ্ছিল। তার মধ্যেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ।

রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী হাসপাতালের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়। রাত ৯টা নাগাদ বেবির মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বের করে এনে রওনা করিয়ে দিলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘণ্টা খানেক পর বের করা হয় রঞ্জিতা মণ্ডলের দেহ। আইসি পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘কারও মৃত্যুর পর পরিজনদের উত্তেজিত হওয়া স্বাভাবিক। তবে আগে থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের প্রস্তুতি থাকায় উত্তেজনা থাকলেও সমস্যা হয়নি।’’ ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধের পর প্রসূতি বিভাগে আসেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার অবিনাশ কুমার। তবে মৃত্যুর কথা স্বীকার করলেও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন