Tehatta

পুণেতে আটকে ৪ যুবক

প্রতি মাসে ছেলের পাঠানো টাকাতেই চলতো সংসার। কিন্তু লকডাউন সব গোলমাল করে দিল। তেহট্টের ঠাকুরপাড়ার  জয়ন্ত দেবনাথ হোটেলে কাজের সূত্রে পুনেতে থাকেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০২:৪৮
Share:

সেই চার যুবক। নিজস্ব চিত্র

ভিন রাজ্যে অথৈ জলে পড়েছেন তাঁরা। লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন। রোজগার বন্ধ। কোনওমতে পেট চলছে। আর ত্রাণের চাল, আলুতে পরিবারের অন্যরা গ্রাসাচ্ছাদন করছেন।

Advertisement

প্রতি মাসে ছেলের পাঠানো টাকাতেই চলতো সংসার। কিন্তু লকডাউন সব গোলমাল করে দিল। তেহট্টের ঠাকুরপাড়ার জয়ন্ত দেবনাথ হোটেলে কাজের সূত্রে পুনেতে থাকেন। এখন হোটেল বন্ধ, কাজেই টাকা পাঠাতে পারছেন না। সঞ্চিত অর্থ বলতে তেমন আর কিছুই নেই। তার পরিবারের মাথায় হাত। পুনেতে জয়ন্তের সঙ্গে কর্মসূত্রে তেহট্টের আরও তিন যুবক থাকেন। এঁরা হলেন শুভঙ্কর দেবনাথ, উত্তম সাহা ও সৌমিত্র সাহা। তাঁদের অবস্থাও একই রকম।

ওই চার যুবক ফোনে জানান, তারা পুনের মুকুন্দনগরের একটি হোটেলে কাজ করতেন। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন বাড়িতে পাঠাতে পেরেছিলেন। কিন্তু মার্চ মাস থেকে লকডাউনে হোটেল বন্ধ। কাজেই বেতন মেলেনি। হাত খরচের জন্য যে টুকু টাকা রাখা ছিল, তা দিয়েই তাঁরা পুনেতে পেট চালাচ্ছেন। কিন্তু আর কত দিন?

Advertisement

জয়ন্ত দেবনাথ বলেন, ‘‘বাড়িতে বাবা, মা ও স্ত্রী ও কন্যা সন্তান রয়েছে। ত্রাণের চাল-ডালের তাঁদের সংসার চলছে। তার বাবা টোটো চালাতেন, কিন্তু এখন তা-ও বন্ধ। শুভঙ্কর দেবনাথের বাড়ি ফেরার কথা ছিল মার্চ মাসে। কিন্তু লকডাউন হাওয়ায় ফিরতে পারেনন। হোটেলমালিক চাল-ডাল দিয়েছেন, তাতেই তাঁরা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু হোটেল মালিক কত দিন খাওয়াবেন? এখন তাঁদের হাত খরচ চালানোর টাকা দিয়েই পেট চালাতে হচ্ছে। কবে পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে, লকডাউন কবে শেষ হবে, কবেই বা বাড়ি ফিরে পরিবারের সকলের মুখ দেখবেন, সেই দিনের অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন