BSF in Nadia

নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত পাচারকারী! কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, জানাল বাহিনী

নদিয়ার মাটিয়ারা সীমান্তচৌকিতে শনিবার টহল দিচ্ছিলেন বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা। সেই সময়েই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১১
Share:

(উপরে) পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পরে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ এবং উদ্ধার হওয়া ধারালো অস্ত্র (নীচে)। — নিজস্ব চিত্র।

নদিয়ায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র গুলিতে মৃত্যু হল এক পাচারকারীর। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ায় মাটিয়ারি-বানপুর সীমান্ত এলাকায়। বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় কয়েকজনের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় জওয়ানদের। তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওই পাচারকারীরা জওয়ানদের উপর হামলা করে। আত্মরক্ষার্থে বাহিনী গুলি চালালে এক পাচারকারীর মৃত্যু হয়।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার মাটিয়ারি সীমান্তচৌকির কাছে। সেখানে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা টহল দিচ্ছিলেন। বিকেলের দিকে ওই এলাকায় ৬-৭ জনের সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে বাহিনীর জওয়ানদের। তাঁদের হাতে প্লাস্টিকের বান্ডিল ছিল। সেগুলি তাঁরা কাঁটাতারের অপর প্রান্তে ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। তা দেখে বিএসএফের জওয়ানেরা প্রথমে ওই পাচারকারীদের সতর্ক করেন। শূন্যে গুলিও চালান জওয়ানেরা। তাতে পাচারকারীরা ভ্রূক্ষেপ না করায় আরও এগিয়ে যান জওয়ানেরা। ওই সময়ে পাচারকারীরা জওয়ানদের উপর চড়াও হন। তাঁদের হাতে দা এবং কিছু ধারালো অস্ত্র ছিল। সেগুলি দিয়ে জওয়ানদের উপর হামলার চেষ্টা করেন পাচারকারীরা।

ওই সময়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালান জওয়ানেরা। ওই সময়ে এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ফেলে রেখেই বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যান বাকি পাচারকারীরা। বিএসএফের জওয়ানেরা ওই পাচারকারীকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

পরে কৃষ্ণগঞ্জ থানাতেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সূত্রের খবর, মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। বিষয়টি ইতিমধ্যে বিএসএফের শীর্ষকর্তাদেরও জানিয়েছেন স্থানীয় আধিকারিকেরা। শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি নীলোৎপল পান্ডে জানান, সীমান্ত এলাকায় নজরদারির সময়ে সাত জন পাচারকারীর সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করা যায়। তাঁদের প্রথমে সেখান থেকে সরে আসার জন্য বলা হয়। তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিএসএফের জওয়ানদের উপরে আক্রমণ চালান। বিএসএফ প্রথমে শূন্যে গুলি চালায়। তবে হামলাকারীরা আরও আক্রমণাত্মক হলে বাধ্য হয়ে বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে এক রাউন্ড গুলি চালায়।

তিনি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে ফেলে বাকিরা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে বিএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায় বলেও জানান তিনি। শনিবারের ওই ঘটনার পরে সীমান্তবর্তী এলাকার ঘটনাস্থল থেকে কাশির নিষিদ্ধ সিরাপ, ধারালো অস্ত্র ও মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে বলে জানান বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement