ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন প্রেমিকা। কিন্তু প্রেমিক কিছুতেই তাঁকে ছাড়তে নারাজ। এ নিয়ে দু’জনের কথা কাটাকাটি তার পর মারামারি। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে প্রেমিকের যৌনাঙ্গে লাথি মারেন প্রেমিকা। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই প্রৌঢ়। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার রানাঘাটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সাগর মণ্ডল। বয়স ৫০ বছর। বিবাহিত ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে রানাঘাট পুলিশ জেলার ধানতলা থানা এলাকার একটি রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি ঝুপড়ির বাসিন্দার সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলা বিবাহিত। তবে স্বামীর মতানৈক্যের জেরে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন। পুত্রকে নিয়ে উঠেছিলেন ঝুপড়িতে। তার পরেই সাগরের সঙ্গে তাঁর আলাপ।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সাগর নামে ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে মহিলার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। প্রেমিকা এবং তাঁর পুত্রের খরচও বহন করতেন ওই ব্যক্তি। সাগরও বিবাহিত। স্ত্রী, সন্তানকে ‘উপেক্ষা’ করে তিনি প্রেমিকার দেখভাল করতেন। এ নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। গত কয়েক মাস ধরে প্রায়শই ঝগড়া হত ওই যুগলের। এর মধ্যে প্রেমিকা সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।
শনিবার রাতে প্রেমিকার কাছে যাচ্ছিলেন সাগর। রেলস্টেশনের পাশে গলির মুখে একটি অন্ধকার স্থানে প্রেমিকার পুত্রের সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়। দু’জনের হাতাহাতি হয়েছিল বলে খবর। ওই সময় প্রেমিকা বেরিয়ে এসে সাগরকে লাথি মারেন।
গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, সাগরের পরিবার তাঁর প্রেমিকা এবং প্রেমিকের পুত্রের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে দু’জনেই পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী অনিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘অনেক বার বারণ করা সত্ত্বেও সংসার ছেড়ে ওই মহিলার সঙ্গে গিয়ে থাকত ও। জানতাম, এক না একদিন এমনই পরিণতি হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যার জন্য সব কিছু করল, সে-ই ওকে মেরে পালাল। ওর চূড়ান্ত শাস্তি হোক।’’