TMC

চায়ের দোকানের তর্কাতর্কি থেকে রক্তারক্তি! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলে উত্তপ্ত রেজিনগর

রেজিনগরের বিধায়কের গোষ্ঠী বনাম তৃণমূলের বিধায়কের অনুগামীদের মারামারিতে তিন জন আহত হন। তাঁদের এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রেজিনগর শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চায়ের দোকানে বসে ছিলেন এক দল তৃণমূল কর্মী। হঠাৎ করে তাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় দলের অপর গোষ্ঠীর কয়েক জনের সঙ্গে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই বাক্‌বিতণ্ডা গড়াল হাতাহাতিতে। গন্ডগোলে যোগ দিলেন আরও কয়েক জন। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে প্রথমে ইট ছোড়াছুড়ি হল। তার পর চলল লাঠি নিয়ে মারামারি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল মুর্শিদাবাদের রেজিনগর। আহত হলেন বেশ কয়েক জন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংঘর্ষে যুক্তদের এক পক্ষ স্থানীয় বিধায়ক রবিউল আলমের অনুগামী। অন্য পক্ষ তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি আতাউর রহমানের লোকজন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার গভীর রাতে রেজিনগর থানার জয়নগর এলাকায় গন্ডগোল শুরু হয়। রেজিনগরের বিধায়কের গোষ্ঠী বনাম তৃণমূলের বিধায়কের অনুগামীদের মারামারিতে তিন জন আহত হন। এক পক্ষের অভিযোগ, তাঁদের উপর বিনা প্ররোচনায় হামলা হয়েছে। লোহার রড এবং বাঁশ দিয়ে আক্রমণ করা হয়। আহত তৃণমূল কর্মী জুয়েল বিশ্বাস বলেন, “আমি রবিউল চৌধুরীর দল করি বলে উপপ্রধানের দলবল মেরেছে। অন্য কোনও ঝামেলা ছিল না। হঠাৎই এসে মারধর করেছে। আজ আমার বাড়িও ভাঙচুর করেছে।”

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বেলডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এক জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তদন্তে রেজিনগর থানার পুলিশ। তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অবশ্য দাবি, “এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নয়। নিছক চায়ের দোকানের ঝামেলা। তাকেই বিরোধীরা গোষ্ঠীকোন্দল বলছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন