Terrorism

বাড়তি সতর্ক নদিয়া, বেড়েছে নজরদারিও

শুক্রবার ধৃতদের মধ্যে একাধিক লোক ভিন রাজ্যে কাজ করত। তাদের সঙ্গে কাজের সূত্রে নদিয়ার কারও যোগাযোগ তৈরি হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৫৯
Share:

প্রতীকী চিত্র

খাগড়়াগড়় বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়়িত থাকার অভিযোগে নদিয়ার একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। এই ঘটনার অন্যতম মাথাও ছিল নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা। ফলে, আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়়িত থাকার অভিযোগে পাশের জেলা মুর্শিদাবাদের ন’জনকে গ্রেফতারের পর নদিয়ার পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগে তৎপরতা তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ সীমানা এলাকার সব থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সাত বছর আগে খাগড়়াগড়় বিস্ফরণের পর নদিয়া জেলার চার জন গ্রেফতার করা হয়। কালীগঞ্জের মির্জাপুর থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। করিমপুরের বারবাকপুরের বাসিন্দা এক মহলা-সহ দু’জন গ্রেফতার হয়েছিল। থানারপাড়ার এক বাসিন্দার বাড়ি থেকে প্রচুর জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছিল। সেই বাড়ির এক বাসিন্দাকে জঙ্গিযোগের অভিযোগে বছর দেড়েক আগে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। বছর তিনেক আগে হাঁসখালি থানা এলাকার এক কিশোরকে মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে।

শুক্রবার ধৃতদের মধ্যে একাধিক লোক ভিন রাজ্যে কাজ করত। তাদের সঙ্গে কাজের সূত্রে নদিয়ার কারও যোগাযোগ তৈরি হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ-সংলগ্ন নদিয়ার গ্রামগুলিতে ভিলেজ পুলিশ, সিভিক ভল্যান্টিয়ার, জনপ্রতিনিধি, মোড়লদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলা হচ্ছে যাতে নতুন কেউ গ্রামে এলে দ্রুত খবর পাওয়া যায়। শুক্রবার আল-কায়দা যোগে ধৃতদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও জলঙ্গির একাধিক লোক আছে। এই দু’টি এলাকার সঙ্গেই দীর্ঘ সীমানা এলাকা রয়েছে নদিয়ার। জল ও সড়ক পথে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ সেখান থেকে নদিয়ায় আসাযাওয়া করেন। সেখানে নাকা চেকিং বাড়়ানো হচ্ছে। গোপালপুর, বোয়ালমারি, পলাশি সড়ক পথে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

Advertisement

করিমপুরের বক্সিপুর ঘাটে ৬টি, থানারপাড়ার হ্যালানগর ও আমতলা ঘাটে ৪টি, হোগলবেড়িয়া থানার গোপালপুর ও সোন্দলপুর ঘাটে ৪টি, তেহট্ট থানা এলাকার কানাইনগর ঘাটে ১টি ও পলাশিপাড়া থানা এলাকার রাধানগর ঘাটে ৪টি, সাহেবনগর ঘাটে ৩টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদ-নদিয়া সীমান্তে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ৭টি সিসি ক্যামেরা বসেছে। বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রামগুলিতে বিএসএফের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ দাবি করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন