মুর্শিদাবাদে দুষ্কৃতী-হামলায় নিহত তৃণমূল কর্মী। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভর সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদে খুন হয়ে গেলেন তৃণমূল কর্মী। বাড়ির সামনে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে। এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। অভিযুক্তদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানা এলাকার হরিহরপাড়া সংলগ্ন কুমারদহ ঘাটের ঘটনা। নিহতের নাম হায়াতুল্লাহ শেখ (৪৮)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। অতর্কিতে কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক বার কোপানো হয় হায়াতুল্লাহকে। তার পর দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
গুরুতর জখম অবস্থায় হায়াতুল্লাহকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। হায়াতুল্লাহ ছিলেন বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আইজুদ্দিন মণ্ডলের শ্যালক। আইজুদ্দিনের অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ও ওই এলাকার দক্ষ সংগঠক ছিল। কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এটা করেছে। বিধানসভা ভোটের আগে ওরা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।’’ তবে কংগ্রেস শিবির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের বলি হয়েছেন হায়াতুল্লাহ। কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে আখেরের ভাগাভাগি নিয়ে গোটা রাজ্যেই তৃণমূল কর্মীরা খুন হচ্ছে। এর নেপথ্যে তাদের গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের লড়াই এবং শাসকদলের সুবিধা নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের গল্প রয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে।’’ ইতিমধ্যে বহরমপুর থানায় পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।