জাকিরের স্ত্রী মিষ্টি বিলি করছেন। — নিজস্ব চিত্র
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই বিড়ি শ্রমিকদের জন্য সুখবর শুনিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত: ‘‘বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া হবে।’’
বিড়ি মালিকরা নানা কায়দায় এতদিন শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করে এসেছেন। শ্রমিক রোজ ১২৬ টাকা মজুরি পান। অথচ খাতায় কলমে পাওয়ার কথা ১৬৯ টাকা। রবিবার জঙ্গিপুরে নিজের কারখানায় বসে এ বিষয়ে জাকির বলেন, ‘‘দলনেত্রী এ বিষয়ে যা বলবেন, আমি তা মেনে চলব।’’ তাহলে কি জাকির শ্রমিকদের পক্ষ নিচ্ছেন? কার্যকর হবে ন্যায্য মজুরির দাবি। রাজ্য সরকার তো সেটাই চাইছে। এ নিয়ে আশঙ্কাও কম নেই। জাকির নিজেও বিড়ি মালিক। তিনি কি নিজের পেশার লোকজনকে চটিয়ে শ্রমিকদের পক্ষ নিতে পারবেন? এ প্রশ্নও উঠছে।
এ দিন সকালে একাধিকবার উঠে এল বিড়ি মহল্লার শ্রমিকদের দুর্দশার কথা। কথা তো উঠবেই, স্বাধীনতার পর এই প্রথম বিড়ি শিল্পাঞ্চলে থেকে কেউ মন্ত্রী হলেন। তার উপর শ্রম মন্ত্রী। অতএব শ্রমিকরা সুখ-দু:খের কথা তো জাকিরের কাছেই পাড়বেন। এ দিন একাধিক বিড়ি শ্রমিক জাকিরের কাছে মিনতি করেন, ‘‘এ বার তাহলে ন্যায্য মজুরির বিষয়টা ভেবে দেখুন। না হলে তো পেটে টান পড়বে।’’ এ দিকে জাকিরের বাড়ি যেন উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি যে এই প্রথম বাড়ি ফিরলেন। জাকির পত্নী মীরা বিবি সকাল থেকেই খোশমেজাজে। তবে তিনি চেনেন ঘরোয়া জাকিরকে। তাঁর কিঞ্চিত শঙ্কা, ‘‘রাজনীতির এত ব্যস্ততার মধ্যে ব্যবসার কাজে ক্ষতি হবে না তো!’’ অতশত ভাবনায় মধ্যে অবশ্য নেই জাকির দুই ছেলেমেয়ে। ছোট মেয়ে লীনার আব্দার, ‘‘আমার একটা ভাল সাইকেল চাই।’’