প্রতীকী ছবি।
পাসপোর্ট নিয়ে অনায়াসে মালদহের মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে এ পারে এসে জালনোটের কারবার চালিয়ে গিয়েছে সে। মঙ্গলবার সেই মহদিপুর সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর বাংলাদেশের বাসিন্দা তথা জালনোট কারবারের অন্যতম চাঁই জেনারুল ইসলাম ওরফে কালু শেখকে গ্রেফতার করে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
কালুর খোঁজে ছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএও। তাই তাকে হেফাজতে নিতে তৎপর এনআইএ কর্তারাও। পুলিশের দাবি, কালুকে জেরা করে জালনোট পাচারের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকের সন্ধান মিলবে। তাই বুধবার মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে ধৃতকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায় পুলিশ। আদালত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘কালুকে জেরা করে জালনোট সর্ম্পকিত অনেক তথ্যই হাতে আসবে।’’
২০১৬-এর জুন মাসে জালনোট সহ গ্রেফতার হয় কালিয়াচকের এক ব্যক্তি। তাকে জেরা করেই পুলিশ বাংলাদেশের বাসিন্দা জেনারুল ইসলাম ওরফে কালুর হদিশ পায়। মাসখানেক আগেও কালিয়াচকে নয়া দু’হাজারের দু’লক্ষ টাকার জালনোট সহ গ্রেফতার হয় এক কারবারিকে। তাকে জেরা করেও কালুর নাম উঠে আসে। তারপর থেকেই তার খোঁজ শুরু করেছিল পুলিশ।
কিন্তু তার খোঁজ শুরু হয়েছে জানতে পেরেই কিছুদিন ধরে সে এ পারে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছিল। ফোনে জালনোটের কারবার চালাত। দিন সাতেক আগে বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে ফের মহদিপুর দিয়ে সে মালদহে আসে। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ফিরে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পাসপোর্ট ছাড়াও দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে কালুর কাছ থেকে। সেই ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে কালু একাধিকবার এ পারে এসে জালনোটের কারবারিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আর প্রতিবারই সে পাসপোর্ট দেখিয়েই ঢুকত। সম্প্রতি সীমান্তে কড়াকড়ি হওয়ায় নিজে না এসে ফোনেই কারবার চালাতো।
পুলিশ কালুকে গ্রেফতার করতেই তাকে হেফাজতে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে এনআইএ। এনআইএর এক কর্তা জানান, তারাও কালুকে জেরা করবেন।