ব্যাঙ্ক লুঠে মালদহ থেকে ধৃত দুই

বাগডোগরায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কে লুঠের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মালদহ থেকে দু’জনকে ধরল পুলিশ। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুলিশের একটি দল মালদহে গিয়েছিল। এ দিন শনিবার মালদহের মানিকচক এলাকার রাজমহলঘাট এলাকা থেকে অভিযুক্ত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের ওই দলটি। ধৃতদের থেকে কয়েক লক্ষ টাকাও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement

সংগ্রাম সিংহ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৬ ০২:২৮
Share:

বাগডোগরায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কে লুঠের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মালদহ থেকে দু’জনকে ধরল পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার শিলিগুড়ি পুলিশের একটি দল মালদহে গিয়েছিল। এ দিন শনিবার মালদহের মানিকচক এলাকার রাজমহলঘাট এলাকা থেকে অভিযুক্ত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের ওই দলটি। ধৃতদের থেকে কয়েক লক্ষ টাকাও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তাদের জেরা করে আরও কয়েকজনের বিষয়ে জানতে পেরেছে পুলিশ। লুঠের ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনায় আরও তিনজনকে ধরতে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশের দলটি। যদিও, তদন্তের কারণে পুলিশের তরফে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘তদন্ত সম্পূর্ণ হলেই কিছু বলতে পারব।’’

পুলিশের দাবি, এক-দু’ দিনের মধ্যে পুরো ডাকাত দলটি ধরা পড়বে। গত বুধবার বাগডোগরার বিহার মোড় লাগোয়া একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দোতলার জানালার গরাদ গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ব্যাঙ্ক ঢোকে কয়েকজন দুষ্কৃতী। সিসিটিভির সংযোগ ও অটোমেটিক অ্যালার্মের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তারা। গ্যাস কাটার দিয়েই পাবলিক লকারের ভল্ট কেটে সেখান থেকে সমস্ত বের করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। লুঠের পরে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। পুলিশকে। তদন্তে পুলিশ জানতে পায়, বাগডোগরা এলাকাতেই হোটেলে ঘাঁটি গেড়ে এলাকায় নজর রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে রেকি করে ছক কষেছিল। পুলিশি তদন্তে তা বের হওয়ার পরেই পুলিশ ওই হোটেলটিতে হানা দেয়। সেখান থেকে জমা করা কাগজ, পরিচয়পত্র উদ্ধার করে।

Advertisement

ঘটনার পর গ্রাহকদের বিক্ষোভ চরমে ওঠে। প্রশ্ন ওঠে পুলিশের নজরদারি নিয়ে। এরপরে নড়েবসে পুলিশ। বাগডোগরা সহ শিলিগুড়ির হোটেলগুলিতে ফের আবাসিক রাখার ক্ষেত্রে নজরদারি কড়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। সেই সঙ্গে নজরদারি ভ্যানগুলিকে আরও বেশিবার করে টহল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কতটা সুরাহা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এর আগেও শিলিগুড়ির প্রধাননগর ও হিলকার্ট রোড এলাকায় হোটেলে মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের তরফে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু মাস খানেক পর থেকেই ঢিলেঢালা মনোভাব দেখা গিয়েছে। ফলে দু’একটি নামী হোটেল গ্রাহকদের পরিচয়পত্র, ঠিকানা ও ছবি যাচাই করলেও বেশিরভাগ হোটেলই তা করে না বলে অভিযোগ। সুতরাং বাগডোগরার ক্ষেত্রেও আলাদা চিত্র দেখা যাবে না বলে মনে করছেন গোবিন্দ চৌধুরী, মানস সরকার, অনিল গুপ্তের মতো স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকরা। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কের ব্যক্তিগত লকারে রাখা জিনিস উদ্ধার হওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন গ্রাহকরা। চাপে পড়ে ক্ষতিপূরণ দেবার কথা স্বীকার করলেও স্পষ্ট করে শনিবার পর্যন্ত কিছু জানায়নি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন