পাশে: বাস উল্টে পড়ায় এলাকার মানুষই ছুটে গিয়ে উদ্ধার করেন যাত্রীদের। নিজস্ব চিত্র
মাঝ রাস্তায় পুকুরে পড়ে গিয়েছিল যাত্রীবোঝাই একটি বাস। রবিবার দুপুরে বালুরঘাট থানার তপন-বালুরঘাট রাজ্য সড়কে নালাগোলা-চকভৃগু ভায়া তপন রুটের বেসরকারী ওই বাসটি মাঝিনা এলাকায় দুর্ঘটনা পড়ে। স্থানীয় এক যুবক প্রসেনজিৎ বর্মণ তাই দেখে চিৎকার শুরু করেন। তাতে এলাকার অনেকে ছুটে আসেন। ২৬ জন যাত্রীকেই জলে অর্ধেক ডুবে থাকা বাস থেকে দ্রুত উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে বেশ কয়েক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস জানান, জখম বাসযাত্রীর মধ্যে ২০ জন মহিলা ও ৬ জন পুরুষ। তবে কারও আঘাত গুরুতর নয়। জল থেকে তাদের দ্রুত উদ্ধার করায় বড় ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছেন যাত্রীরা।
বাসটির চালকের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগ উঠেছে। তপনের বাসিন্দা জখম এক যাত্রী তরুণ শীলের কথায়, ‘‘বাসটির গতি বেশি ছিল না। তবে দুর্ঘটনার সময় বাসের চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন।’’ কয়েক মাস আগে মুর্শিদাবাদে বাসচালকের মোবাইলে কথা বলার খেসারত দিতে হয়েছিল যাত্রীদের। সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি নদীর জলে ডুবে যাওয়ায় অন্তত ৪০ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছিলেন। এরপর বাসের চালকদের গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করে প্রশাসন থেকে সচেতনার প্রচার ও নজরদারি চালান হয়। ওই নজরদারিতে ঢিলে পড়তেই ফের স্টিয়ারিংয়ে বসে চালকের মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগ উঠল বালুরঘাটে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানায়, মালদহের নালাগোলা-চকভৃগু ভায়া তপন রুটের বেসরকারী ওই বাসটি তপন যাওয়ার পথে একটি পুকুরে উল্টে পড়ে। রবিবার বলে বাসটিতে যাত্রী কম ছিল। প্রসেনজিত বলেন, ‘‘হঠাৎই বাসটি হেলে গিয়ে রাস্তার ধারে থাকা পুকুরের জলে উল্টে পড়ে। আমি চিৎকার করতে আশপাশের বাড়ি ও মাঠ থেকে লোকজন ছুটে আসেন। সকলে মিলে উদ্ধার শুরু করি।’’