বিয়ের মুখেই নিখোঁজ শিক্ষক

রহস্য জনক ভাবে বিয়ের মুখে স্কুল শিক্ষক এক যুবক নিঁখোজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারের গ্রামে। নাম সুনয়ন মোদক। শনিবার সকালে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা থানা এলাকার শিলাডাঙা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৭
Share:

সুনয়ন মোদক

রহস্য জনক ভাবে বিয়ের মুখে স্কুল শিক্ষক এক যুবক নিঁখোজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারের গ্রামে। নাম সুনয়ন মোদক। শনিবার সকালে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা থানা এলাকার শিলাডাঙা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি বলে অভিযোগ। ওই দিনই পরিবারের তরফে বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের কাছে ‘মিসিং ডায়েরি’ করা হয়। রবিবারেও ওই যুবকের হদিশ মেলেনি। তা ছাড়া, গত বৃহস্পতিবার তুফানগঞ্জ থানার বলরামপুরের বাসিন্দা এক যুবক পিন্টু সেন আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। শুক্রবার পেশায় ব্যবসায়ী ওই যুবকের মোটরবাইক, এটিএম সহ কিছু সামগ্রী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের তুফানগঞ্জ-কোচবিহার রাস্তার সানফোলা সেতুর কাছে উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের লোকেদের সন্দেহ জমি নিয়ে গোলমালের জন্য পিন্টুবাবুকে অপহরণ করা হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “ঘোকসাডাঙার ঘটনাটি নিয়ে মিসিং ডায়েরি রুজু হয়েছে। তুফানগঞ্জের ঘটনায় অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

পরিবার সূত্রের খবর, ঘোকসাডাঙার শিলডাঙার বাসিন্দা সুনয়নবাবু মাথাভাঙার হাজরাহাট এলাকার একটি হাইস্কুলের শিক্ষক। সুনয়নবাবুর সঙ্গে তুফানগঞ্জের বাসিন্দা এক শিক্ষিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিয়ের দিন আগামী ২ মার্চ। দুই পরিবারেই প্রস্তুতি চলছিল। অন্য দিনের মতো শনিবার সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ তিনি প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন। মোবাইলও নেননি। বেলা বাড়লেও সুনয়নবাবু না ফেরায় পরিবারের লোকেরা বন্ধু, আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজখবর শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তাঁর খোঁজ মেলেনি। পরে ঘোকসাডাঙা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানান। সুনয়নবাবুর বাবা প্রদীপ মোদক বলেন, “ছেলের পছন্দ মতো পাত্রীর সঙ্গেই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। আগামী বৃহস্পতিবার বিয়ের দিন চূড়ান্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে এমন ঘটনায় ভীষণ চিন্তায় রয়েছি। কেন এমনটা হল কিছুই বুঝতে পারছি না।” তিনি জানান, কেউ মুক্তিপণ চেয়ে কোন ফোন করেনি।

বলরামপুরের বাসিন্দা সব্জি ব্যবসায়ী পিন্টু সেনের দাদা মিন্টু সেন জানিয়েছেন, “ভাইকে জমি নিয়ে বিবাদ মীমাংসার চেষ্টার জন্য নাগরুরহাটের বাসিন্দা দিদির বাড়ির এলাকার কিছু লোক হুমকি দিত। তাই অপহরণের সন্দেহ বেড়েছে। পুলিশে শনিবার সব কিছুই জানিয়েছি।” শনিবার ওই বাড়িতে যাওয়ার কথা বলেই বেরিয়েছিলেন পিন্টুবাবু। সেখানে যান। তবে বাড়িতে ফেরেননি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন