বিজেপির প্রচারে পঞ্চায়েত-সন্ত্রাস, তৃণমূলে ‘অস্বস্তি’

বুধবার কালিয়াগঞ্জে দলের কর্মিসভায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গত পঞ্চায়েত ভোটে ‘সন্ত্রাসের’ কথা তুলে শাসকদলকে বিঁধছে বিজেপি। প্রকাশ্যে এ নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য না করলেও, তৃণমূলের অন্দরমহলে তা নিয়ে অস্বস্তি ছড়িয়েছে বলে খবর।

Advertisement

বুধবার কালিয়াগঞ্জে দলের কর্মিসভায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের অন্দরের খবর, কর্মিসভার পরে কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। সেখানেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিজেপির উপনির্বাচনের প্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পাভোট ও বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছিল। ২৫ নভেম্বর ওই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার প্রচারেই ওই সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলছে বিজেপি।

Advertisement

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেছেন, ‘‘শুভেন্দুবাবু দলীয় নেতা-কর্মীদের সংযত ভাবে কালিয়াগঞ্জে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন। দলের কোনও নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ জানালে, ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।’’ অসীমের বক্তব্য, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থেই পঞ্চায়েত ভোটের কথা টেনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।

তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির সন্ত্রাস রুখতেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।’’ তবে দলের এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগের মোকাবিলার অস্ত্র তৃণমূলের কাছে নেই। সে কারণেই উপনির্বাচনের প্রচারে ওই পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

বিজেপির অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বরুণা, রাধিকাপুর, ভাণ্ডার, মালগাঁও ও মোস্তাফানগরের শতাধিক বুথে গোলমাল পাকিয়েছিল তৃণমূল। কোথাও বুথ দখল করে বিরোধী ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। কোথাও শাসক দলের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সামনেই ছাপ্পা ভোট দিয়েছেন।

বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূলের থেকে প্রায় ৫৭ হাজার ভোট বেশি পেয়েছে। সেই ভোটে বাসিন্দারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। বিধানসভা উপনির্বাচনেও ফের সন্ত্রাসের জবাব দেবেন তাঁরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন