Coronavirus

লালারসের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন জলপাইগুড়িতে

করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেরিতে আসছে বলেও অভিযোগ। ৪ মে লালারস সংগ্রহ করার পরে রিপোর্ট হাতে পাননি অনেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২০ ০৬:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

জলপাইগুড়িতে করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, সোয়াব স্টিকের সাহায্যে নিজেদের লালারস নিজেদেরই বের করে দিতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি অসুবিধার তো বটেই, এ ভাবে সংগ্রহ করা লালারসে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেরিতে আসছে বলেও অভিযোগ। ৪ মে লালারস সংগ্রহ করার পরে রিপোর্ট হাতে পাননি অনেকেই। রিপোর্ট না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন অনেকেই।

জলপাইগুড়ি শহরের সেনপাড়ার বৃদ্ধা আরতী পাল বলেন, ‘‘মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে আমি ও ছেলে কলকাতায় গিয়েছিলাম। ২০ এপ্রিল ফিরে আসার পরে হাসপাতালের নির্দেশে ১৪ দিন বাড়িতে কোয়রান্টিনে ছিলাম। ৪ মে করোনা পরীক্ষার জন্য সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে যাই। সেখানে আমার হাতে দু’টি সোয়াব স্টিক ধরিয়ে দিয়ে নাক ও গলার ভিতর থেকে লালারস বের করতে বলা হয়।’’

Advertisement

লালারস পরীক্ষা করাতে আসা লোকজনেরা জানাচ্ছেন, নিজেদের লালারস নিজেদের সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর। প্যাথোলজিস্টদের মতে, নিজেদের লালারস নিজেরা সংগ্রহ করলে ঠিক রিপোর্ট আসা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনেই লালারস সংগ্রহ করা উচিত। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের তা সংগ্রহ করার কথা। অনেক ক্ষেত্রেই তা হচ্ছে না বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দেওয়ার পরে এখনও রিপোর্ট হাতে পাননি অনেকেই। শহরের এক সরকারি কর্মচারী জানান, ৪ মে নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁকেও নিজের হাতেই লালারস সংগ্রহ করে জমা দিতে হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তিনি রিপোর্ট পাননি।

হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত আসেনি।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলা থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৭১৬ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রিপোর্ট এসেছে ১০৭৮ জনের। সব রিপোর্টই নেগেটিভ।

স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানোর নির্দেশ রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর হয়ে তার পরে রিপোর্ট জেলা স্বাস্থ্য দফতরে আসছে। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ মেনেই আমরা লালারস সংগ্রহ করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement