প্রতীকী ছবি।
কোথাও মণ্ডপ তৈরির খরচ কমানো হয়েছে। আবার কোথাও কাটছাঁট করা হয়েছে আলোকসজ্জায়। অনেক উদ্যোক্তারা আবার পুজোর দিনে নানা অনুষ্ঠান, ভুরিভোজের আয়োজনও বাতিল করেছেন। এ ভাবেই টাকা সংগ্রহ করে তা দিয়ে সাহায্য করা হবে বন্যা দুর্গতদের। রায়গঞ্জের বড় বাজেটের পুজোগুলো এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগে একাধিক পুজো কমিটি মণ্ডপ, প্রতিমা ও আলোকসজ্জার বরাত দিয়ে দিয়েছে। তারা পুজোর আনুষাঙ্গিক খরচ কমিয়ে দুর্গতদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রায়গঞ্জের শিলিগুড়িমোড় এলাকার সুদর্শনপুর সর্বজনীন দুর্গোত্সব কমিটি প্রতিবছরই বড়মাপের পুজোমণ্ডপ ও চন্দননগরের ডিজিটাল আলোকসজ্জার আয়োজন করে। ওই পুজো কমিটির সহ সম্পাদক চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘‘এ বার আমরা যতটা সম্ভব কম আলোকসজ্জার মাধ্যমে পুজোর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বছর বাসিন্দাদের খাওয়ানোও হবে না।’’ সেই খরচ বাঁচিয়ে ইটাহারের বন্যা দুর্গতদের একাংশকে খাবার ও পোশাক দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
শহরের অন্যতম বড় পুজো করে দেহশ্রী। সেই পুজো কমিটির অন্যতম কর্ণধার তথা সিপিএম নেতা প্রাণেশ সরকার জানান, এই বছর মণ্ডপ, আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব কিছুতেই খরচ বাঁচানো হচ্ছে। রায়গঞ্জের বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানান তিনি।
অমর সুব্রত পুজো কমিটির উপদেষ্টা প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায় জানান, বন্যার আগেই তাঁদের মণ্ডপ, প্রতিমা, আলোকসজ্জার বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। তাই সেখান থেকে খরচ বাঁচানো মুশকিল। কিন্তু পুজোর বাকি আয়োজন বাবদ যে খরচ ধরা হয়েছিল, তা থেকে টাকা বাঁচিয়ে বন্যা দুর্গতদের খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক বিলির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
বন্যার জেরে রায়গঞ্জ ও ইটাহারের বহু মানুষের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। তাঁদের বর্তমানে ত্রিপলের প্রয়োজন। সেই বিষয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে শাস্ত্রী সঙ্ঘ পুজো কমিটি। কমিটির সম্পাদক মনোজ প্রধান জানান, পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও পুজোর চারদিন খিচুড়ি বিলি বাতিল করে ওই টাকা জোগাড় করা হবে। সপ্তাহ দুয়েক ধরে রায়গঞ্জের বন্যা দুর্গতদের খাবার বিলি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শহরের বিদ্রোহী পুজো কমিটির সদস্য সুব্রত অধিকারীও। এই কর্মসূচি চালু রাখা হবে বলে জানান তিনি।