রকাবাহাদুর ছেত্রী। —ফাইল চিত্র।
গোর্খাল্যান্ড নিয়ে মোর্চার অবস্থান জানতে চেয়ে এ বার সরাসরি সংঘাতের পথে নামল হরকাবাহাদুর ছেত্রীর জন আন্দোলন পার্টি। কালিম্পঙের ত্রিকোণ পার্কে মঞ্চ বেঁধে এ দিন ধর্নায় বসল জাপ-এর যুব সংগঠন। তাদের বক্তব্য, পাহাড়ে ভোট হলেই গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলে মোর্চা। আর ভোট মিটতেই চুপ করে যায়। আন্দোলনকারীদের দাবি, ভোটের রাজনীতি বন্ধ করে মোর্চা জানাক, গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে কী পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।
সদ্য সমাপ্ত কালিম্পং পুরভোটে মোর্চাকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল জাপ। বস্তুত, তৃণমূল এবং জাপের ভোট যোগ করলে তা মোর্চার থেকে বেশি। ত্রিমুখী লড়াইয়ে মোর্চা বেরিয়ে গেলেও তাদের সামনে পথ যে কঠিন, সেটা এ দিন বুঝিয়ে দিল জাপের যুব সংগঠন। তাদের এই লাগাতার ধর্না বিমল গুরুঙ্গদের নতুন করে চাপে ফেলে দিল।
যদিও মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ডের দাবি আমরা বরাবর করে আসছি। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রের মন্ত্রীদের সঙ্গে নানা সময়ে তা নিয়ে যোগযোগ করা হচ্ছে। জাপ এখন তৃণমূলের সুরে সুর মেলাতে চাইছে। পাহাড়ের মানুষ তাদের সমর্থন করেনি।’’
কিন্তু রোশনদের এই কথায় ভুলছে না জাপ। তাদের অভিযোগ, গত ১০ বছর ধরে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে মোর্চা। পাহাড়ের আবেগকে নিয়ে খেলা করছে। মিথ্যে দাবিকে তুলে ধরে ভোটে মানুষের সমর্থন আদায় করছে। কিন্তু আখেরে এই নিয়ে তাদের কোনও পরিকল্পনা বা কর্মসূচি নেই। লোকসভা থেকে বিধানসভা ভোট, এমনকী সম্প্রতি পাহাড়ে পুরসভাগুলোয় নির্বাচনের সময়েও পাহাড়ের মানুষের ওই আবেগকে নিয়ে রাজনীতি করছে মোর্চা।
জাপের যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমির বাসনেট বলেন, ‘‘কেবল রাজনীতি করতে মানুষকে মিথ্যে আশ্বাস দিচ্ছে মোর্চা। আমরা মানুষের কাছে মোর্চার এই দ্বিচারিতা তুলে ধরতে চাই।’’ তিনি জানান, অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্না আন্দোলন চলছে। যতক্ষণ না গোর্খাল্যান্ডের দাবি আদায় কী ভাবে হবে, তা পরিষ্কার করা হবে অথবা মানুষকে মিথ্যে আশ্বাস দেওয়া থেকে মোর্চা বিরত থাকার কথা জানাবে, তত দিন এই আন্দোলন চলবে।