ফাইল চিত্র।
প্রশাসনিক বৈঠক করতে সোমবার চার্টার্ড বিমানে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকছে একটি হেলিকপ্টারও।
করোনা আবহে ভোটের পর প্রথমবার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে তিনি শিলিগুড়ি আসছেন। সরকারি সূত্রের খবর, বিশেষ বিমানটি ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য শিলিগুড়িতে আনা হচ্ছে একটি হেলিকপ্টার বা চপার। সবকিছু ঠিক থাকলে হেলিকপ্টারটি থাকবে বাগডোগরা বিমানবন্দরের বিমান রাখার ‘হ্যাংগারে’। নিজের সময় বাঁচানোর জন্য ভোটের সময় টানা হেলিকপ্টারের ব্যবহার মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে যাতায়াতের জন্য প্রথমবার গাড়ির সঙ্গে রাখা হচ্ছে হেলিকপ্টারটি।
মুখ্যমন্ত্রীর ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিলিগুড়ি এসে ৯ তারিখ কলকাতা ফেরার কথা। পাঁচ দিনের সফরে তিন দিন প্রশাসনিক বৈঠক। সফরে বিশেষ নিরাপত্তা এবং দ্রুত প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য রাখা হচ্ছে চপারটি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কী ভাবে তা ব্যবহার করতে পারেন, তা শুক্রবার সন্ধ্যা অবধি নবান্ন থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার— দু’দিন উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে নিরাপত্তা বৈঠক হয়। পুলিশ অফিসার-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা সেখানে ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের খুঁটিনাটি নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিওরিটি ইউনিটের (এসএসইউ) অফিসারেরা আসা শুরু করেছেন। রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিমানে আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহারের জন্য রাখা হচ্ছে। উত্তরকন্যার বাইরে কোথাও গেলে আকাশপথ মুখ্যমন্ত্রী ব্যবহার করতে পারেন। রবিবার নাগাদ সব চূড়ান্ত হবে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের প্রচারে কয়েক দফায় উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন টানা হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের মতো জেলায় যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট করে আগে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা হয়েছে। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের অংশ হিসাবে চপার বা হেলিকপ্টার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে সড়কপথেই উত্তরকন্যায় আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার পরে সেখানে তিনদিনে পাঁচ জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা। লাগোয়া ফুলবাড়িতে একটি দুয়ারে সরকারের শিবিরে বা গজলডোবার ‘ভোরের আলো’য় তিনি যেতে পারেন বলে শোনা গেলেও তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
বিধানসভা ভোটের পর কেএলও’র মতো সংগঠনের নতুন করে প্রকাশ্যে আসা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনিক অফিসারেরা উদ্বি্গ্ন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সফরে থাকছে বাড়়তি নিরাপত্তা। উত্তরকন্যার বাংলোটি ইতিমধ্যে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।