বাজারজুড়ে: ঢালাও আমদানি। নিজস্ব চিত্র
বন্যায় কয়েকদিন প্রায় ফাঁকাই ছিল মাছ বাজার। ইলিশ তো দূর অস্ত্, মিলছিল না কাতলা, রুই, পমফ্রেট কোনও মাছই। বুধবার কোচবিহারে ছোট বড় সব বাজারেই ইলিশের ঢালাও আমদানি এ দিন গ্রাহকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। দামেও তুলনামূলক কম। শুধু ভবানীগঞ্জ বাজারেই এ দিন ১৬০০ কেজি ইলিশ ঢুকেছে। দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ ও কোচবিহার সদরের সব বাজার মিলিয়ে ওই সংখ্যা কয়েক গুণ। পাশাপাশি সীমান্ত পারে দেখা মিলেছে বাংলাদেশের ইলিশেরও। দাম একটু বেশি হলেও ওই ইলিশের জন্য কাড়াকাড়ি পড়ে যায়।
মৎস্য দফতরের কোচবিহারের জেলা আধিকারিক অলোক প্রহরাজ বলেন, “দিঘায় প্রচুর ইলিশ মিলেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসায় ইলিশের প্রচুর আমদানি হয়েছে। আশা রাখছি এ বারে ইলিশপ্রেমীদের রসনা তৃপ্তি হবে।” দিনহাটা মহকুমা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী জানান, দিনহাটার বাজারে এ দিন ইলিশ ছাড়া অন্য কোনও মাছের দেখা তেমন মেলেনি। তিনি বলেন, “বন্যার জন্য বাইরের রাজ্য থেকে মাছ আসা প্রায় বন্ধ রয়েছে। ইলিশের বেশ কিছু ট্রাক বন্যায় আটকে ছিল। যান চলাচল শুরু হওয়ায় ইলিশ মাছ আসতে শুরু করেছে। একবারে অনেক ইলিশ এসে যাওয়ায় দামও নেমেছে।”
এ দিন বাজারে যে ইলিশ পাওয়া গিয়েছে সেগুলি ৪০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম পর্যন্ত ছিল। এক কেজির মাছের সংখ্যা কম ছিল। ভবানীগঞ্জ বাজারের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী রাজেশ মাহাতো জানান, কিছু দিন আগে যে ওজনের ইলিশের দাম হাজার টাকার উপরে ছিল এ দিন তা পাঁচশো টাকায় বিক্রি হয়েছে। চারশো গ্রামের ইলিশ চারশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের মাছের দাম একটু বেশি ছিল।
ঘুঘুমারি পাইকারি বাজারে এ দিন ২০০ কেজি দরে মাছ বিক্রি করেন ফুলেশ্বর দাস। তিনি বলেন, “মাছ দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা সম্ভব নয়। তাই মোটামুটি দামে ছেড়ে দিয়েছি।” দিনহাটার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা গীতালদহে এ দিন বেশ কিছু ইলিশ এ পারে আসে বলে দাবি। দিনহাটার এক বাসিন্দা বলেন, “অনেক অপেক্ষার পর বাংলাদেশি ইলিশ মিলল। দাম একটু বেশি হলেও স্বাদে অতুলনীয়।”