TMC

সভায় বসা নিয়ে বচসা নেতাদের

ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের গোষ্ঠীর সঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।

Advertisement

গৌর আচার্য 

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৯
Share:

এক মঞ্চে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী। রায়গঞ্জে। ছবি: চিরঞ্জীব দাস।

মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় জনসভার মঞ্চে জায়গা পাওয়া নিয়ে সভা শেষ হতেই মঞ্চের পাশে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল নেতাদের একাংশ। বুধবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের গোষ্ঠীর সঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।

Advertisement

এ দিন রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের নিয়ে জনসভা করেন মমতা। মাঠে তিনটি মঞ্চ করা হয়েছিল। মূল মঞ্চে মমতার সঙ্গে ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, দলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি গৌতম দাস-সহ দুই জেলার বিধায়ক এবং প্রথম সারির ২০ জন নেতানেত্রী। পাশের দুটি মঞ্চে জায়গা দেওয়া হয়েছিল দুই দিনাজপুরের জেলা পরিষদের সদস্য, ব্লক সভাপতি, যুব তৃণমূল, মহিলা তৃণমূল, টিএমসিপি, আইনজীবী সেল, কাউন্সিলর-সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের প্রায় ৬০ জন নেতানেত্রীকে। মমতার সভা শেষ হতেই অমলের সঙ্গে কানাইয়া ও রব্বানির বচসা বেঁধে যায়। সেখানে অমল কানাইয়া ও রব্বানির উদ্দেশ্যে বলেন, “ইটাহার-সহ জেলার নয়টি ব্লকের ব্লক স্তরের তৃণমূলের অনেক নেতা জায়গা পাননি। তাঁরা ঘুরে চলে গিয়েছেন। অথচ দুটি মঞ্চে তাঁদের থেকে অনেক ছোটমাপের নেতাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক হয়নি।”

একথা শুনে কানাইয়া অমলের উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, “আপনি দিদির সভা সফল করার জন্য কী করেছেন?” কানাইয়া এরপর অমলকে বলেন, “গতকাল রাতে মাঠে বেড়াতে এসেছিলেন। আজ সভায় এসেছেন। এগুলো বন্ধ করুন।” এরপরেই রব্বানি অমলের উদ্দেশ্যে বলেন, “কাঠি মারা বন্ধ করুন। অনেক কাঠি করেছেন।”

Advertisement

পরে অমল বলেন, “জেলা তৃণমূলের নেতাদের একাংশ জেলায় দল পরিচালনার নামে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন। এদিন জেলার নয়টি ব্লকের প্রথম সারির অন্তত চার জন করে তৃণমূল নেতাদের মুখ্যমন্ত্রীর পাশের দুটি মঞ্চে জায়গা দেওয়া উচিত ছিল।” কানাইয়া ও রব্বানির পাল্টা দাবি, দলীয় অনুশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের নির্দেশ মেনে তিনটি মঞ্চে যতটা বেশি সম্ভব দুই দিনাজপুরের নেতাদের জায়গা দেওয়া হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement