গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
হেমতাবাদের মৃত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় গত কয়েক বছরে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেছেন। দেবেনকে খুনের অভিযোগে ধৃত নিলয় সিংহকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে এমন তথ্যই উঠে এসেছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।
তদন্তকারী এক আধিকারিকের দাবি, গত কয়েক বছরে দেবেন ১৫ জন বাসিন্দার সঙ্গে টাকা লেনদেন করেছেন। তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ সুপার সুমিত কুমার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘সিআইডি তদন্ত করছে। এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
সিআইডির তদন্তকারী এক কর্তার বক্তব্য, ময়না তদন্তের রিপোর্টে দেবেন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। গত দুদিনে সিআইডি তদন্তেও দেবেনের আত্মহত্যার বিষয়টিই স্পষ্ট হচ্ছে। কিন্তু দেবেনের স্ত্রী চাঁদিমা পুলিশের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাই নিলয় ও মাবুদ আলি নামে আরও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করেছে।
সিআইডির দাবি, দেবেনের বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কের দু’টি পাসবই-সহ একটি খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই খাতায় আর্থিক লেনদেনের হিসেব-সহ ১৫ জনের নাম মিলেছে। গত কয়েক বছরে দেবেন ওই ১৫ জনের সঙ্গে প্রচুর টাকা লেনদেন করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
সিআইডির এক কর্তার দাবি, বছর পাঁচেক আগে প্রোমোটারি ও চালকল ব্যবসার খোলার জন্য দেবেন নিলয়-সহ একাধিক ব্যক্তিকে এক কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছিলেন। নিজের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ও অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা জোগাড় করেছিলেন দেবেন। একাধিক ব্যক্তি তাঁর টাকা ‘হাতিয়ে’ নেওয়ায় দেবেন দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন। কারা তাঁর টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন, তা ওই ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে