general-election-2019-west-bengal

তৃণমূলের ডিম-ভাত, পদ্মে পনির

বিজেপি সূত্রের খবর, সকালে এজেন্টদের লুচি, ছোলার ডাল এবং মিষ্টি খাওয়ানো হবে। দুপুরে গেরুয়া শিবিরের মেনু ভাত, ডাল, ভাজা এবং পনিরের তরকারি।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৯ ০৪:৪২
Share:

তোড়জোড়: রান্নার প্রস্তুতি চলছে। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল আয়োজন করেছে ডিম-ভাতের, সিপিএম রয়েছে মাছে-ভাতে, কংগ্রেসের ফ্রায়েড রাইস এবং মাংস। বিজেপি আমিষে নেই। ভোট গণনায় তাদের এজেন্ট এবং কর্মীদের দু দিন ধরে পনিরের তরকারি খাওয়াচ্ছে গেরুয়া শিবির।

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ভোট গণনা শুরু হবে। এ বছর কমিশনের জারি করা নতুন কিছু নির্দেশিকার জেরে গণনা প্রক্রিয়া সারতে রাত হয়ে যাবে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গণনায় থাকা এজেন্টদের খাবারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ কমিশনের নেই। রাজনৈতিক দলগুলিই নিজেদের কর্মীদের জন্য টিফিন-খাবারের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু অন্য দলগুলি আমিষ আয়োজন করলেও বিজেপি নিরামিষেই আস্থা রাখছে। তা নিয়ে কটাক্ষ-অভিযোগ করতে ছাড়ছে না অন্য দলগুলি।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, “বিজেপি বরাবরই কে কী খাবে তা তার উপর ছেড়ে না দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। দেশসুদ্ধু সকলকে আমিষ ছেড়ে নিরামিষ খাওয়ার ফতোয়া দিতে চায় ওই দলের নেতারা। নিজেদের দলের কর্মীদেরও ছাড়ছে না।” গণনায় ভাল ফল হলে রসগোল্লার পরিবর্তে লাড্ডু বিলির নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। তাতেও কটাক্ষ করে তৃণমূল অভিযোগ করেছিল উত্তর ভারতের সংস্কৃতি বাংলায় আমদানি করতে চাইছে বিজেপি। এ বার লাড্ডুর সঙ্গে পনীর।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিজেপি সূত্রের খবর, সকালে এজেন্টদের লুচি, ছোলার ডাল এবং মিষ্টি খাওয়ানো হবে। দুপুরে গেরুয়া শিবিরের মেনু ভাত, ডাল, ভাজা এবং পনিরের তরকারি। গণনার জন্য এ দিন বুধবার থেকেই বিভিন্ন বিধানসভা এলাকার এজেন্টরা জলপাইগুড়ি পৌঁছেছেন। তাঁদের রাখা হয়েছে শহরের বিভিন্ন অতিথি নিবাসে। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁদের দুপুর এবং রাতের খাওয়ার পাতেও কোনও আমিষ পদ পড়েনি। দুপুরে ছিল পনির সহ সব মিশেলি তরকারি। রাতেও পনিরের তরকারি। বিজেপির এক নেতার দাবি, নেতৃত্ব যেমন নির্দেশ দিয়েছেন তেমনই ব্যবস্থা হয়েছে। বিজেপির জেলা সম্পাদক তথা প্রার্থীর এজেন্ট বাপি গোস্বামী বলেন, “এই মেনুর সঙ্গে সংস্কৃতি, অভ্যেস বা চাপিয়ে দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। গরমের মধ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এজেন্ট এবং কর্মীদের থাকতে হবে। কারও যাতে শরীর খারাপ না করে সেই জন্যই নিরামিষ মেনু।”

গণনা কেন্দ্রের পাশেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী শিবির তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের শিবিরই আকার-আয়তনে সব থেকে বড়। বুধবার দুপুর থেকেই চাল, আনাজ আসতে শুরু করেছে শিবিরে। তৃণমূলের পদ হল সরু চালের ভাত, একটি ভাজা, নানা আনাজ মিশিয়ে তরকারি এবং ডিমের কষা। জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বুধবার সন্ধেয় এই মেনুর সঙ্গে আচারও যোগ করা হয়েছে। সিপিএমের তরফে সকালে কলা এবং রুটি। দুপুরে মাছের ঝোল ভাত সঙ্গে ডাল-তরকারি। মেনুর দিক থেকে ওজনে ভারী কংগ্রেস। সকালে পুরি-তরকারির পরে দুপুরে ফ্রায়েড রাইস আলুভাজা এবং মুরগির মাংস। কর্মীদের একাংশের দাবি মাংসের ঝোলের পরিবর্তে চিলি চিকেন হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন