মঙ্গলবার একাধিক বিষয় নিয়ে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। —ফাইল চিত্র।
একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবি তুলল তৃণমূল। মঙ্গলবার একাধিক বিষয় নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার এবং তাঁর মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবি করা হয়।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এ দিন অভিযোগ করেন, বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে এগারোটি ধারায় মামলা রয়েছে। চুরি, ডাকাতি থেকে খুনের চেষ্টা এবং আগ্নেয়াস্ত্র আইনে মামলাও রয়েছে। তিনি বলেন, “এমন অপরাধে অভিযুক্ত কারও বাইরে থাকা ঠিক নয়। তাই গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।” সেই সঙ্গে আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি প্রার্থী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। সেই সঙ্গে তিনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলেও হলফনামায় জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এমন দু’টি পেশাগত বিষয় আইনত অপরাধ বলে তিনি দাবি করেন। এমন সব কারণেই নিশীথের মনোনয়ন বাতিলের দাবি করা হয় বলে মন্ত্রী জানান।
নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “তৃণমূল হারবে বুঝতে পেরেছে। তাই ভয় পেয়ে এমন অভিযোগ করছে।” নিশীথ প্রামাণিককে নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে কোচবিহারে। তাঁকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পরেই দলের অন্দরেই ক্ষোভ দানা বাঁধে। তুমল বিক্ষোভ, ভাঙচুর হয় বিজেপির পার্টি অফিসে। ওইদিন একদল বিজেপি সমর্থক পার্টি অফিসে দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান। তাঁদের অভিযোগ ছিল, নিশীথ প্রামাণিক যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার নেতা ছিলেন। তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাই তাঁকে প্রার্থী হিসেবে কেউ মেনে নিতে চাইনি বলে দলের তরফে বলা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, নিশীথের বিরুদ্ধে একাধিক অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূলে থাকার সময়ে বিজেপি সে সব নিয়ে বারবার সরব হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এবার তৃণমূল ওই একই অভিযোগ নিয়ে সরব হল। তৃণমূল এ দিন আরও অভিযোগ করে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় অনুমতি ছাড়াই কর্মী, সমর্থকদের জমায়েত করা হয় সাগরদিঘি পাড়ে। তাতে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূলের সময় শেষ। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।”