ফের কাছাকাছি করিম ও জাভেদ। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে ইসলামপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে দলের সব পক্ষ এক সঙ্গে লড়াই শুরু করেছে আব্দুল করিম চৌধুরীর পক্ষে। তাই গত বার এই বিধানসভা নির্বাচনে করিমের প্রতিপক্ষ কানাইয়ালাল আগরওয়াল, এ বার তৃণমূলের প্রার্থীকে জেতাতে জোর কদমে মাঠে নেমেছেন। এমনকি, তিনি করিমের এক রকম ছায়াসঙ্গীর ভূমিকাই পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার থেকে শহরে প্রচার শুরু করেছেন করিম। সঙ্গে ছিলেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা ইসলামপুর পুরসভার পুরপ্রধান কানাইয়ালাল। এ দিন শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিক্রমা করেন তাঁরা।
করিমের এক কালের প্রিয় সঙ্গী জাভেদ আখতারও সাম্প্রতিক কালের দূরত্ব মুছিয়ে করিমের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। জাভেদ এ দিন বিশাল বাইক বাহিনী নিয়ে করিমের বাড়িতে যান। গোলঘরে আশীর্বাদ নেন। বিশাল ফুলের মালা করিমের গলায় পরিয়ে দূরত্ব ঘুচিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জাভেদ একটি মামলায় করিমের সঙ্গে ২০১০ সালে জেল খেটেছেন। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল থেকে করিম জয়ী হয়ে মন্ত্রী হন। কিছু দিন পরে জাভেদের সঙ্গে করিমের বিরোধ দেখা দেয়। তারপর থেকে দুজনের দূরত্ব তৈরি হয়। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সিপিএম জোট প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান করিম। পরে কানাইয়ালাল ঘাসফুলে নাম লেখান। তখনই করিম গোষ্ঠীর সঙ্গে কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর বিরোধ দেখা দেয়। এতে করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূল ছেড়ে নিজে দল গঠন করেন বাংলা বিকাশবাদী কংগ্রেস। দীর্ঘ দু’বছর রাজনীতির ময়দান থেকে কার্যত নীরব ছিলেন। তবে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে কানাইয়ালাল ভোটে দাঁড়ানোয় ইসলামপুরে উপনির্বাচনে করিমকে প্রার্থী করার পরে ফের রাজনীতির কেন্দ্রে এসেছেন গোলঘরের নেতা। করিমের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, জেলা সভাপতি অমল আচার্য, চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। ইসলামপুরে বিরাট মিছিল পরিক্রমা করে। এক ফ্রেমে এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে একটুও দেরি করেননি দলীয় কর্মী সমর্থেকরা।