মৌসম বেনজির নূর। —ফাইল চিত্র
এক দলের সব হারানোর আশঙ্কা। আর এক দলের নতুন কিছু পাওয়ার আশা। উত্তর মালদহ কেন্দ্রটির জন্য লোকসভা ভোটের জন্য মরিয়া হয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল।
এই কেন্দ্রটি ফিরে পেতে কংগ্রেস সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুর এখন দিনরাত এক করে কাজে নেমেছেন। নিয়ম করে গ্রামীণ উৎসব-অনুষ্ঠান এবং দলীয় কর্মসূচিতে ছুটছেন তিনি। ওই আসন থেকে টানা দু’বার জয়ী হয়েছেন মৌসম। এই কেন্দ্র তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। তাঁর এই খাস তালুকেই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্থান হয়েছে বিজেপির। শুধু উত্থানই নয়, কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে বিজেপি পিছনেও ফেলে দিয়েছে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তিনি। তাই গ্রামের বাউল উৎসব, মেলা থেকে শুরু করে ধর্মীয় জলসাতেও নিয়ম করে ছুটছেন মৌসম। এখন থেকেই তিনি ছোট ছোট কর্মিসভাও করতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। প্রত্যন্ত এলাকায় একাধিক স্বাস্থ্য শিবিরেরও আয়োজন করেছিলেন মৌসম। তিনি বলেন, “মানুষের সঙ্গে আমার সারা বছরই যোগাযোগ। তাই মানুষের ডাকে বিভিন্ন স্থানে যেতে হচ্ছে।”
পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। তাদের চমক একঝাঁক কর্মাধ্যক্ষ। সম্প্রতি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হয়েছে। উত্তর মালদহ থেকে ছ’জন এবং দক্ষিণ মালদহে মাত্র তিনজন কর্মাধ্যক্ষ করা হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক ভাবে এগিয়ে রয়েছে শাসক দল।
জেলা পরিষদের ১৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি এবং তৃণমূল পেয়েছে ছ’টি করে আসন। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে মাত্র দু’টি। এমনকী, হবিবপুর ও বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতিও একক ভাবে দখল করেছে বিজেপি। বহু গ্রাম পঞ্চায়েতও একক ভাবে বিজেপি দখল করেছে। ফলে উত্তর মালদহে বিজেপির উত্থান ঘুম ছুটিয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল শিবিরের। তাই উত্তর মালদহকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দুই শিবিরই। বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্চিত মিশ্র বলেন, “মালদহে কংগ্রেস, তৃণমূল মিলেমিশে একাকার। তারপরেও বিজেপিকে রোখা যাবে না।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “বিজেপিকে জবাব দেওয়ার জন্য মানুষই প্রস্তুত। আর দক্ষিণ মালদহ থেকে আমাদের তিনজন কর্মাধ্যক্ষ এবং সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি রয়েছেন।”