বাসে আগুন নেভানোর চেষ্টায় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী।—নিজস্ব চিত্র।
পিছন থেকে ছুটে আসা বেসরকারি বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে ছিটকে পড়েছিলেন চালক। গুরুতর আহত হন আরও এক আরোহী। এই পথদুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি-জলপাইগড়ি জাতীয় সড়কের ভুটকির হাট গন্ডারমোড় এলাকায়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে যুবকের— এই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইহই করে ছুটে আসে এক দল মানুষ। তার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাসে। ঘাতক বাসটির তলাতেই দীর্ঘ ক্ষণ আটকে ছিল স্কুটিটি। বৃহস্পতিবার এই দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজগঞ্জ ব্লকের ভুটকিরহাট গন্ডারমোড় এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে সকাল ১১টা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক জন। স্কুটির পিছনের আসনে বসেছিলেন আরও এক জন। আচমকা পিছন থেকে একটি বেসরকারি বাস ধাক্কা মারে ওই স্কুটিটিতে। দুই আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়লেও স্কুটিটি বাসের তলায় আটকে যায়। সেই অবস্থাতেই বাসটি স্কুটিটিকে নিয়েই কয়েকশো মিটার এগিয়ে যায়। এর পর স্থানীয়রা ধাওয়া করে বাসটিকে গন্ডারমোড় এলাকায় দাঁড় করায়। ভয়ে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পড়তে থাকেন। প্রথমে ওই বাসে ভাঙচুর চলে। তার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাসটিতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আহত দুই স্কুটি আরোহীর নাম আইয়ুব আলি এবং হামিদার আলি। তাঁদের বাড়ি আমবাড়ির বীরবান এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় শিলিগুড়ির দুটি আলাদা আলাদা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের। এক জনের মৃত্যু হয়েছে, এই খবর ছড়িয়ে পড়াতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই খবর পেয়ে আমবাড়ি ফাঁড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি থানা এবং রাজগঞ্জ থানার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফুলবাড়ি দমকল কেন্দ্র থেকে একটি ইঞ্জিনও ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুর্ঘটনার নেপথ্যের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।