Death

পাঁচিল দেওয়া নিয়ে বচসা,মালদহে ভাইপোকে খুন করে ঝুলিয়ে দিলেন কাকা এবং কাকিমা!

বুধবার সন্ধ্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার গোলামোড় এলাকার বাসিন্দা সুকুমার সাহার দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ১৩:৪৮
Share:

ভাইপোকে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।

বাড়ির পাঁচিল ভাঙচুরে বাধা দিতে গিয়ে বচসা। তার জেরে ভাইপোকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাকা, কাকিমা এবং খুড়তুতো ভাইদের বিরুদ্ধে। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার গোলামোড় এলাকার বাসিন্দা সুকুমার সাহা (১৮)-র দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাতে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয় সুকুমারের কাকা প্রফুল্ল সাহা, কাকিমা দীপালি সাহা, তাঁদের দুই পুত্র দীপঙ্কর সাহা এবং প্রদীপ সাহা-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ সুকুমারের কাকাকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সুকুমারের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তেরা।

সুকুমারের দাদা বিষ্ণু সাহা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ির পাঁচিল দেওয়া নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কাকার পরিবারের বিবাদ ছিল। এই নিয়ে গ্রামে কয়েক বার সালিশি সভাও বসেছিল। কয়েক দিন আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় তাঁর কাকা তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বলেও জানিয়েছেন বিষ্ণু। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে। এর পর বুধবার দু’পক্ষকে থানায় দেখা করতে বলে। বিষ্ণুর অভিযোগ, দু’পক্ষ থানায় গেলেও বাড়িতে ছিল সুকুমার এবং তাঁর দুই খুড়তুতো ভাই দীপঙ্কর এবং প্রদীপ। অভিযোগ, দীপঙ্কর এবং প্রদীপ সেই সময় বাড়ির পাঁচিল ভাঙতে শুরু করেন। সুকুমার বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। বিষ্ণুর দাবি, তিনি বাড়ি ফিরে ভাইকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ নিয়ে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন