চিন্তায় অশোক

সংখ্যা নেই হাতে, কাজ এগোবে তো

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিং। সংখ্যালঘু হয়ে পড়া পুরবোর্ডে তাই বিভিন্ন প্রস্তাব পাশের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুর কর্তৃপক্ষের একাংশের মধ্যেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৮
Share:

কলকাতায় শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। — নিজস্ব চিত্র

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিং। সংখ্যালঘু হয়ে পড়া পুরবোর্ডে তাই বিভিন্ন প্রস্তাব পাশের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুর কর্তৃপক্ষের একাংশের মধ্যেই। সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলর দুর্গা সিংহ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে অশোক ভট্টাচার্যের পুরবোর্ড। ৪৭ সদস্যের পুরসভায় তখন তাঁরা ২৩ জন। এর পরে তাঁদের সমর্থনকারী নির্দল সদস্য অরবিন্দ ঘোষের মৃত্যুতে সঙ্কট আরও বেড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে কাজ চালানো নিয়েই।

Advertisement

এই মুহূর্তে ৪৬ সদস্যের পুরসভায় বামেরা এখন ২২ জন। উল্টো দিকে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১৮। এ ছাড়াও আছেন কংগ্রেসের চার এবং বিজেপির দু’জন। তাই বিরোধী দলের একাংশের সমর্থন না পেলে বিভিন্ন প্রস্তাব আটকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাম মহলে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার পুরসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন বিরোধী দলনেতা নান্টু পাল।

মেয়র আগেই জানিয়েছিলেন, যে পরিস্থিতিতে চলতে হচ্ছে, তাতে অন্য কেউ হলে এত দিনে আত্মসমর্পণ করে দিতেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই তা করবেন না। আর সে কারণেই তাঁকে নানা ভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্যের তরফে প্রাপ্য অর্থ পুরসভাকে দেওয়া হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীকে তো বটেই, রাজ্যের অন্য মন্ত্রীদেরও তিনি বহুবার চিঠি পাঠিয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন। তা নিয়ে একটি বইও পুরসভার তরফে দিন কয়েক আগে প্রকাশ করেছেন মেয়র। অথচ কোনও সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে দলের তরফে আন্দোলন কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুরবোর্ডের ওই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল বোর্ড দখল করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মেয়রে। সম্প্রতি পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও জানিয়ে দেন, দুর্গাপুজোর বিসর্জনের পর এই পুরবোর্ডেরও বিসর্জন হবে। তাতেই পুরসভা দখলের চেষ্টায় তৃণমূল সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে বামেদের অভিযোগ। নান্টু পাল জানিয়েছেন, রাজ্য টাকা দিচ্ছে না বললেই তো হল না। অশোকবাবু যখন পুরমন্ত্রী ছিলেন, তখন শিলিগুড়ি পুরসভাকে কত টাকা দিতেন? আর এখন পুরসভা রাজ্যের কাছ থেকে কত ‘গ্রান্ট’ পাচ্ছে, তা তিনিই বলুন। তা হলেই সব স্পষ্ট হবে। বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘মেয়র কাজ করতে না পারলে ছেড়ে দিন। আসলে তিনি রাজনীতি করতে চাইছেন। সব জায়গায় উন্নয়ন হচ্ছে। শিলিগুড়িতে তিনি করতে পারছেন না। মানুষ তাতে ক্ষুব্ধ। বৃহস্পতিবার দলীয় কাউন্সিলরদের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement