স্টেশনে সাফাই রেলকর্তার

প্যাসেঞ্জার ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ছেড়েছে কয়েক মিনিট আগে। লাইনে তখনও ময়লা পরে। হঠাৎই সেই ময়লা দেখে রেলকর্তা নিজেই ঝাড়ু নিয়ে লাইনে নেমে পড়তে পা বাড়ালেন। ততক্ষণে দৌড়ে এসেছেন সাফাইকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৬ ০২:২৬
Share:

প্যাসেঞ্জার ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ছেড়েছে কয়েক মিনিট আগে। লাইনে তখনও ময়লা পরে। হঠাৎই সেই ময়লা দেখে রেলকর্তা নিজেই ঝাড়ু নিয়ে লাইনে নেমে পড়তে পা বাড়ালেন। ততক্ষণে দৌড়ে এসেছেন সাফাইকর্মীরা। চলে এসেছেন সাফাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারও। বললেন, ‘‘স্যার করছেন কী? আমরা তো আছি।’’ ট্রেন চলে যাওয়ার পরেও কেন ময়লা পরিষ্কার হয়নি তা নিয়ে ধমক খেলেন সকলে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনভর নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম পরিদর্শন করলেন রেলের আধিকারিকরা। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের এনজেপি বিভাগের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার পার্থসারথী শীলের নেতৃত্বে অভিযান চলে। সাফাই দিবসে স্টেশনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। কখনও নিজেরাই হাতে ঝাড়ু, বেলচা তুলে নেন আবর্জনা সরাতে।

অন্য দিনের মতো এ দিন সকালেও এনজেপি স্টেশনের সব প্ল্যাটফর্মেই ব্যস্ততা ছিল। ট্রেন চলে যাওয়ার পরে উর্দিওয়ালা সাফাই কর্মীদের কয়েকজনকে একপাশে বসে গল্পগাছা করতে অথবা তাস খেলতেও দেখা যায়। হঠাৎই রেল আধিকারিকদের উপস্থিতি প্ল্যাটফর্মের দৃশ্য পাল্টে দেয়। রেল লাইনে কেন ময়লা পড়ে থাকবে তা নিয়ে বকাঝকা শুরু করেন সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার পার্থবাবু। তারপরে নিজেরাই হাতে ঝাড়ু তুলে নেন। ততক্ষণে লজ্জিত সাফাই কর্মী সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা জোর কদমে সাফাই শুরু করে দেন। প্ল্যাটফর্মের ওপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফলের খোসা হাতে নিয়ে তুলে ডাস্টবিনে ফেলতেও দেখা যায় তাঁকে। আবার প্ল্যাটফর্মে কেন বেশি ডাস্টবিন নেই তা নিয়েও জবাবদিহি চান অফিসারদের কাছে। প্রথম পর্যায়ে প্ল্যাটফর্ম সাফাইয়ের পরে আধিকারিকরা কয়েকজন জানান, সাফাইের কাজ শেষ। ক্ষুব্ধ পার্থবাবুর উত্তর, ‘‘আসল কাজ তো এখনও বাকি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন