উড়ালপুলে নজরদারি

এক লক্ষ্যে দুই নেতা

রাজনীতির দুই মেরুতে রয়েছেন ওঁরা। কিন্তু, মাঝেরহাট-কাণ্ড একই পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে দু’জনকেই। এক জন ভোরে উঠে শহর ও লাগোয়া এলাকার সেতুর কোথায় কী বিপদের আশঙ্কা, তা দেখে বেড়াচ্ছেন।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:১৬
Share:

রাজনীতির দুই মেরুতে রয়েছেন ওঁরা। কিন্তু, মাঝেরহাট-কাণ্ড একই পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে দু’জনকেই। এক জন ভোরে উঠে শহর ও লাগোয়া এলাকার সেতুর কোথায় কী বিপদের আশঙ্কা, তা দেখে বেড়াচ্ছেন। আর এক জন উদয়াস্ত শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির সেতু, কালভার্ট চষে ‘খুঁত নেই তো’ জানতে চাইছেন।

Advertisement

এক জন অশোক ভট্টাচার্য, অন্য জন সৌরভ চক্রবর্তী। প্রথম জন এসজেডিএ-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান, দ্বিতীয় জন বর্তমান। দু’জনের চিন্তার কারণ দু’রকম। অশোকের চিন্তা, তাঁর আমলেই শিলিগুড়ির উড়ালপুর, মহানন্দার উপরে একাধিক সেতু হয়েছে। তার উপরে তিনি এখন শিলিগুড়ির মেয়র। ফলে দেখভালের দায় একেবারে কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতেও পারেন না। সৌরভবাবুর চিন্তার কারণ, তাঁদের ৭ বছরেও কম সেতু, কালভার্ট হয়নি। তার উপরে বাম আমলের সেতু, উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়ও তাঁরা এড়াতে পারবেন না। তাই দু’জনই নজরদারিতে নেমে পড়েছেন নিজের নিজের মতো করে।

মঙ্গলবারের কথাই ধরা যাক। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনের প্রাক মুহূর্তে ব্যস্ততা সত্ত্বেও সৌরভ দিনভর ১৬টি ছোটবড় সেতু ঘুরে দেখলেন। বাদ দিলেন না গ্রামের কালভার্টও। পরে বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির ১২টি সেতু চিহ্নিত করে পূর্ত দফতরকে জানিয়েছি। আরও কালভার্ট, সেতু দেখব।’’

Advertisement

অশোককেও এ দিন সাতসকালে দেখা গিয়েছে মহাবীরস্থান উড়ালপুলে। কিছুক্ষণ পরেই গিয়েছেন চতুর্থ মহানন্দা সেতুতে। তার পরে প্রথম ও দ্বিতীয় মহানন্দা সেতু, মহিষমারি এলাকাতেও। কোথাও ফাটল, মরচে ধরা রড, জল জমে থাকতে দেখলে ইঞ্জিনিয়রদের জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছেন। অশোক বলেন, ‘‘উড়ালপুল, সেতু, কালভার্ট— এগুলির জীবনীশক্তি ঠিক থাকে রক্ষণাবেক্ষণের উপরে। তাতে অনেক ক্ষেত্রে গাফিলতি হয়। তাই দেখেশুনে যথাস্থানে জানাচ্ছি।’’ তিনি আরও জানান, সেতুর রেলিংয়ে ফাটল, সেতুর উপরে জল জমে থাকা, উড়ালপুলে জল জমা না রুখলে আচমকা বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।

তবে এতে কাজের কাজ কতটা হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসীদের অনেকে। শিলিগুড়ি নাগরিক সমিতির মুখপাত্র রতন বণিক বলেন, ‘‘মাঝেরহাটের মতো বিপর্যয় যাতে আর না ঘটে, সেটা সকলে মিলে নিশ্চিত করতে হবে। ঠেলাঠেলি, দোষারোপ করে কেউই এগোতে পারব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন