পুজোর ভাসানে বিবাদে তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রাবণী দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।
গণেশপুজোর ভাসানে ঝগড়ায় জড়ানো এবং মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে শাস্তি দিল পুরসভা। অভিযুক্ত শ্রাবণী দত্তকে ছেঁটে ফেলা হল শিলিগুড়ি মেয়র পারিষদ পদ থেকে। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা শ্রাবণী মেয়র পারিষদও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় উদ্ধত আচরণের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি গণেশপুজোর ভাসানের সময় তাঁর সঙ্গে বচসা হয় ওয়ার্ডেরই কয়েক জনের। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় তিনি গায়েও হাত তোলেন। তেমন একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। নিজের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের হেনস্থা করেছেন পুরমাতা তথা মেয়র পারিষদ, এই অভিযোগে বিক্ষোভ হয় এলাকায়৷ পরিস্থিতি সামলাতে হাল ধরতে হয় খোদ শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়রকে। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অন্য দিকে, ন্যায়বিচার না-পেলে অনশনে বসবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন ওই কাউন্সিলর। শেষমেশ শাস্তির খাঁড়া নেমেছে কাউন্সিলরের ঘাড়ে। পুরসভার মিডডে মিল, জন্ম মৃত্যু নিবন্ধীকরণ বিভাগের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ওই তৃণমূল কাউন্সিলরকে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে মেয়র বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র পারিষদ থেকে শ্রাবণী দত্তকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে৷ যত দিন পর্যন্ত নতুন কেউ মেয়র পারিষদ না হচ্ছেন, তত দিন ওই দফতরগুলো মেয়রের তত্ত্বাবধানে থাকবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘দলের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত। যা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত এবং অবাঞ্ছিত।’’
কাউন্সিলর শ্রাবণী জানিয়েছেন পরের পদক্ষেপ তিনি এখনই বলবেন না। তবে কর্তৃপক্ষ যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে সম্মান জানাবেন তিনি। পুরমাতার কথায়, ‘‘এটা দলের সিদ্ধান্ত। দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিক। আমি চেয়েছিলাম, সবটা খতিয়ে দেখা হোক। সেটা যখন হল না... তবে আমি কী করব, সেটা পরে জানাব৷’’