TMC

দুর্নীতির নালিশ, ২ নেতাকে শো-কজ়

দলীয় সভায় না আসার অভিযোগে মানিকচক ব্লকের দুই জেলা পরিষদ সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ও ডলিরাণি মণ্ডলকেও এ দিন শো-কজ় করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০৫:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি

সরকারি প্রকল্পে কাটমানি নেওয়া ও বাংলা আবাস যোজনা বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগে মালদহে দলের দুই নেতাকে শো-কজ় করল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই নেতার মধ্যে এক জন কালিয়াচক ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, অন্য জন গাজোল ব্লকের শলাইডাঙা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি। দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসম নুর ও দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ি শনিবার তাঁদের শো-কজ় করেন। ওই চিঠি পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব জেলা নেতৃত্বের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই দুই নেতা অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঘনিষ্ঠ মহলে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

দলীয় সভায় না আসার অভিযোগে মানিকচক ব্লকের দুই জেলা পরিষদ সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ও ডলিরাণি মণ্ডলকেও এ দিন শো-কজ় করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিয়ো বৈঠকে ছিল সেখানে মানিকচক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সাবিত্রী মিত্র ওই দুই জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে দলীয় সভায় যোগ না দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

দলের মালদহ জেলা কো-অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ি বলেন, "বিভিন্ন অভিযোগে দলের কয়েক জনকে শো-কজ় করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। উত্তর পাওয়ার পরে এ ব্যাপারে রিপোর্ট রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে।"

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার দলীয় সভাপতি ও জেলা কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে রাজ্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, দুর্নীতির সঙ্গে আপস নয়। দলীয় সূত্রে খবর, ওই বৈঠকের জেলা সভাপতিদের হাতে কয়েক জন নেতার তালিকা তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করতেও বলা হয়।

কালিয়াচক ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কুর রহমান বিশ্বাস বলেন, "আমি কোনও চিঠি পাইনি। এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।" শলাইডাঙা অঞ্চল সভাপতি মোফাজ্জল রহমান বলেন, "অভিযোগ ভিত্তিহীন। দলকে তা জানাব।" এ দিকে জেলা পরিষদের দুই সদস্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন