ধৃত ৩, হদিস মিলল মোবাইল চুরি চক্রের

শিলিগুড়ির একটি মোবাইল ফোন সার্ভিস সেন্টার থেকে চুরি যাওয়া ৩৫টি মোবাইলের তদন্ত করতে নেমে একটি দুষ্কৃতী চক্রের সন্ধান পেল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল চুরির অভিযোগে গত ৮ মে ওই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুর এলাকা থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৪ ০২:৫০
Share:

শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল এবং অন্যান্য জিনিস উদ্ধারের পর দেখাচ্ছেন ডিসি (সদর) ও জি পাল। রবিবারের নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়ির একটি মোবাইল ফোন সার্ভিস সেন্টার থেকে চুরি যাওয়া ৩৫টি মোবাইলের তদন্ত করতে নেমে একটি দুষ্কৃতী চক্রের সন্ধান পেল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল চুরির অভিযোগে গত ৮ মে ওই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুর এলাকা থেকে। ধৃতদের কাছ থেকে ১৫ টি মোবাইল উদ্ধার হয়। গত শনিবার তাদের শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। ধৃতদের প্রাথমিক জেরা করে পুলিশ চক্রের মাথারও হদিশ পায়। বর্তমানে সে দমদম সেন্ট্রাল জেলে একটি ডাকাতির মামলায় বন্দী। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (সদর) ওজি পাল বলেন, “চক্রটি গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর আগে শিলিগুড়ি-সহ সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল চুরির মামলা হয়েছে, তার সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ইউসুফ আলি, সুবীর হাওলাদার এবং সঞ্জীব অধিকারীকে দত্তপুকুর থেকে শিলিগুড়িতে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে এসেছে পুলিশ। সকলেই দত্তপুকুর, বামনগাছি এলাকার বাসিন্দা। আজ, সোমবার তাদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশের দাবি, সুবীরের বাবা নূর আলম হাওলাদার চক্রের মূল পান্ডা। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। শিলিগুড়ির ঘটনায় সে জড়িত ছিল। পরে বামনগাছিতে একটি ডাকাতির মামলা সে ধরা পড়ে।

৩ মার্চ শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ায় একটি মোবাইল ফোন সংস্থার সার্ভিস সেন্টারে চুরি হয়। ওই সেন্টার থেকে করা অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্তে নামে। নতুন ও মেরামত করতে দেওয়া মোবাইল মিলিয়ে মোট ৩৫টি মোবাইল চুরি হয় বলে পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ চুরি মোবাইলের আমএমইআই নম্বরের সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একটি মোবাইল উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরে ব্যবহার করা হয়। ধরা পড়ে ইউসুফ। শিলিগুড়ি পুলিশের দল গিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তাকে জেরা করে সুবীর ও সঞ্জীবকে গ্রেফতার করা হয়। ওই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কী না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন