ফের জবরদখল, বেহাত ফুটপাথ

মাস গড়াতে ফের জবরদখলের কবলে পরে উধাও হতে বসেছে ফুটপাত। যানজটের পুরনো ছবি ফিরতে শুরু করেছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সংলগ্ন এলাকায়। ২৯ জানুয়ারি পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখল মুক্ত করে পুরসভা। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই ফের সেই এক ছবি। যার জেরে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৫ ০২:৪০
Share:

মাস গড়াতে ফের জবরদখলের কবলে পরে উধাও হতে বসেছে ফুটপাত। যানজটের পুরনো ছবি ফিরতে শুরু করেছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সংলগ্ন এলাকায়।

Advertisement

২৯ জানুয়ারি পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখল মুক্ত করে পুরসভা। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই ফের সেই এক ছবি। যার জেরে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “ফুটপাতে দোকান খুলে বসতে দেওয়া হবে না। এলাকাগুলি রেলিং দিয়ে ঘিরে সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে। সেখানে পথচারীদের জন্য জায়গা থাকবে।”

হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তার দু’পাশের ঘিঞ্জি পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে চিকিত্‌সা করাতে আসা রোগীর পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, যানজটে নাকাল হতে হয়। পথচারীদের রাস্তার একদিকে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন। অন্য দিকে, বিভিন্ন ওয়ার্ড যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে চিকিত্‌সক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের। এ ছাড়াও দৈনিক রাস্তার পাশে বহির্বিভাগে চিকিত্‌সার জন্য ভিড় করা রোগীদের ভোগান্তি কম নয়। পুরসভার কর্তারা জানান, সমস্যা বেড়ে চলায় নিরুপায় হয়ে গুমটি দোকান ভেঙে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন না যেতে বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা ফুটপাতে টেবিল লাগিয়ে ফের দোকান বসানো হয়।

Advertisement

পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের প্রমোদ মণ্ডলের অভিযোগ, “পরিকল্পনাহীন কাজের পরিণতি এমনটাই হয়। ফুটপাত উদ্ধারের পরে কেন সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়নি? একবার দোকান ভেঙে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হল। সেখানে ফের দোকান বসছে। আবার সেগুলি ভাঙা হবে ওই নাটক কতদিন চলবে।”

একই অভিযোগ কংগ্রেস কাউন্সিলর নির্মল ঘোষ দস্তিদারের। তিনি বলেন, “পুর-কর্তারা ঠিক কী করতে চায়, সেটা নিজেরা জানেন না। শুধু বক্তৃতার উপরে সব কিছু চলছে। বাস্তবে কিছু হচ্ছে না।”

যদিও পুর কর্তাদের দাবি, হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের অনেক চিন্তা ভাবনার পরে সেখানে ফুটপাত উদ্ধার করে নতুন কিছু কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুধু ফুটপাত নয়, হাসপাতাল সংলগ্ন জলাশয় এবং প্রায় মজে যাওয়া ধরধরা নদী সংস্কার করা হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “রোগীর পরিবার এবং পথচারীদের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কেউ যদি মনে করেন, উদ্ধার করা ফুটপাত ফের দখল করে রাখবেন ভুল করবেন। জেলা সদর হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এটা হতে দেওয়া যায় না। সেখানে অনেকগুলি কাজের পরিকল্পনা রয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement