মাথাভাঙায় মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু দুই বালকের

বাড়ি তৈরির জন্য খাল কেটে মাটি তোলা হচ্ছিল। সেই খালেই খেলতে নেমে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হল দুই বালকের। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মাথাভাঙা থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ময়নাতলির বুড়াবুড়ি এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম মনোজ রায় (৯) এবং রাকেশ রায় (১৩)। ঘটনায় জখম আরও এক বালককে মাথাভাঙা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৪ ০২:১৪
Share:

বাড়ি তৈরির জন্য খাল কেটে মাটি তোলা হচ্ছিল। সেই খালেই খেলতে নেমে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হল দুই বালকের। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মাথাভাঙা থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ময়নাতলির বুড়াবুড়ি এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম মনোজ রায় (৯) এবং রাকেশ রায় (১৩)। ঘটনায় জখম আরও এক বালককে মাথাভাঙা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকার এক বাসিন্দা বাড়ি তৈরি করার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে একটি খালি জায়গায় খাল তৈরি করে ক্রেন দিয়ে মাটি তুলছিলেন। গত কাল মাটি তোলার কাজ শেষ হয়ে যায়। এদিন বিষ্ণুবাবুর প্রতিবেশী কৃষ্ণ রায়ের ছেলে মনোজ এবং ধরণীকান্ত রায়ের ছেলে রাকেশে আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে ওই খালে গিয়ে খেলতে শুরু করে। প্রায় দশ ফুট গর্তের ওই খালে মনোজ, রাকেশ বসেছিল। তাদের সঙ্গে থাকা আরও দু’জন দাঁড়িয়েছিল। আচমকা গর্তের পাড়ের মাটি ধসে তাদের উপরে পড়ে। মনোজ ও রাকেশ মাটি চাপা পড়ে। দীপক মান্তা ও আরও একজন বালকের বুক পর্যন্ত মাটি চাপা পড়ে যায়। সকলের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা চারজনকেই ঊদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান সেখানে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। দীপকের কোমরে আঘাত লাগায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরেক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, ফুটফুটে দুটি ছেলে এভাবে মারা যাবে ভাবাই যাচ্ছে না। গত দুদিনের বৃষ্টিতে ওই খালের চারদিকের মাটি নরম হয়ে যায়। এদিন ওই বালকেরা সেখানে দৌড়ঝাঁপ করতে থাকায় মাটি আলগা হয়ে ধসে পড়ে বলেই মনে হচ্ছে। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা ললিতা রায় বলেন, “গ্রামের দুটি বালকের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। মাটি আলগা থাকাতেই ধস নামে। যার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন