এই স্মারকই উপহার দেওয়া হবে। —নিজস্ব চিত্র।
চলতি আর্থিক বছরে যাত্রী সংখ্যার নিরিখে নিজেদের রেকর্ড ছোঁয়ার সম্ভাবনার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের হিসেবে আজ, মঙ্গলবার বিমানবন্দরের সারা বছরে ১০ লক্ষ যাত্রী সংখ্যার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে। ওই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বিমানবন্দরের নামা যাত্রীদের কয়েক জনকে স্মারক উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এ দিন তিনটি বিমানের বাছাই করা ১২ জন যাত্রীকে স্মারক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বাগডোগরা বিমানবন্দরে ওঠানামা করা সবকটি বিমান সংস্থার বাছাই করা যাত্রীদেরই স্মারক দেওয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তবে কোন যাত্রীদের উপহার দেওয়া হবে, তা বাছাই করে দেওয়ার ভার বিমান সংস্থাগুলিকেই দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বাগডোগরার বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, “শুধু যাত্রী নয়, বিমান ওঠানামার সংখ্যাও বেড়েছে। তবে দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নানা মাপকাঠিতে এক বছরে যাত্রী সংখ্যার হিসেব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছরে ১০ লক্ষ যাত্রী সংখ্যাকে একটি ধাপ হিসেবে ধরা হয়। আজ মঙ্গলবার সেই ধাপ বাগডোগরা পেরিয়ে যাবে।”
চা বাগান ঘেরা বিমানবন্দরের স্মারকেও চা শ্রমিকদের আদল রাখা হয়েছে। আদিবাসী নারী পুরুষ ধামসা, মাদল ধরে রয়েছে এমনই স্মারক তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর অধিকর্তা জানিয়েছেন, সব যাত্রীর হাতে স্মারক তুলে দেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই বিমান সংস্থার উপরে যাত্রী বাছাইয়ের ভার দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০১১-১২ আর্থিক বছরে বিমানবন্দরে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৮ জন। তারপরের তিন বছরেই যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। তার পরের আর্থিক বছরে যাত্রী সংখ্যা কমে যায়। গত আর্থিক বছরে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ২১ হাজারের কিছু বেশি। চলতি বছরে সেই সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমান চলাচলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতেই যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষত কাঠমান্ডুগামী আর্ন্তজাতিক উড়ান ৫ মাস ধরে চলার কারণেও যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। মাসখানেক আগে প্রকাশ করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ১০ লক্ষের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে এই বিমানবন্দর। কর্তৃপক্ষের দাবি, সোমবার পর্যন্ত যাত্রী সংখ্যা ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এ দিন মঙ্গলবার ১০ লক্ষের ‘ধাপ’ পেরিয়ে যাবে এই বিমানবন্দর।