কমিশন কই, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

বিরোধীদের প্রশ্ন, গুজরাতে রাজ্যসভার সদ্য অনুষ্ঠিত ভোটের দিন অরুণ জেটলি থেকে শুরু করে প্রায় অর্ধেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা হাজির হয়ে গিয়েছিল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০২:৫৮
Share:

রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

তিন মাস আগে ৭টি পুরসভার ভোটের দিন বিরোধীদের দাবি শুনতে সময়ই দেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহ! এ বার আরও ৭টি পুরসভার ভোটের প্রচারে বাধা পেয়ে কমিশনারের সাক্ষাৎ পাননি বিরোধী নেতারা! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলে কাল, রবিবার ওই ৭টি পুরসভার ভোটেও ফের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করছে বিরোধী শিবির। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই তাদের উদ্বেগে রেখেছে।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ও পাঁশকুড়া পুরসভায় এ বার প্রায় প্রচারই চালাতে পারেনি বিরোধীরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর প্রচার কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছে। কমিশনের কাছ থেকে কোনও আশ্বাস না পেয়েই সিপিএমের সূর্যবাবু, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তীরা নিজেদের মতো করে গণপ্রতিরোধের ডাক দিচ্ছেন।

বিরোধীদের প্রশ্ন, গুজরাতে রাজ্যসভার সদ্য অনুষ্ঠিত ভোটের দিন অরুণ জেটলি থেকে শুরু করে প্রায় অর্ধেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা হাজির হয়ে গিয়েছিল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে। সেই ভোটে প্রার্থী ছিলেন স্বয়ং বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। তার পরেও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অচলকুমার জ্যোতি বিক্ষুব্ধ দুই কংগ্রেস বিধায়কের ভোট বাতিলের সিদ্ধান্তে অচল ছিলেন। তা হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন রাজ্য সরকার তথা শাসক দলের কাছে বারবার নতিস্বীকার করছে? কমিশন সূত্রের খবর, পুরভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কমিশনার। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব মানতে পারবে না বলে মুখ্যসচিব তাঁকে জানিয়ে দেন। সেই বক্তব্য কমিশনার কেন মেনে নিলেন, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: পৃথক পথের সারথি কারা, প্রশ্ন সিপিএমে

বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘আগের জমানায় হুগলির জেলাশাসক থাকার সময়ে সিপিএমের তৎকালীন দাপুটে নেতা অনিল বসুর কাছে গিয়ে বসে থাকতেন। এখন আবার তৃণমূল সরকারের কথা শুনে চলছেন। স্বভাব বদলায়নি!’’ কমিশনারকে অবশ্য শুক্রবার বারবার ফোন করে ও মেসেজ পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।

তবে কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, ৭টি পুরসভাতেই ঘুরে পরিস্থিতি দেখেছেন কমিশনার। সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে সুষ্ঠু ভাবে যাতে ভোট হয়, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দুর্গাপুরে বৃহস্পতিবার রাতেই সিপিএমের দফতরে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে সূর্যবাবু এ দিন বলেছেন, ‘‘কেবল নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের উপরে নির্ভর করে না করে গণপ্রতিরোধের উপরে ভিত্তি করে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন