প্রতারণার মামলায় সৌমিত্রকে জেরা

কিছু দিন আগে সৌমিত্র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর নামে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন থানায়। তারই একটিতে এ দিন তাঁকে জেরা করার কথা জানিয়েছিল বাঁকুড়া পুলিশ। সে জন্য এ দিন তিনি দুর্গাপুর থানায় আসেন। তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশে সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। বাঁকুড়া পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০১:২৪
Share:

থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সৌমিত্রকে। নিজস্ব চিত্র

বাঁকুড়ার একটি মামলার তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশকে সহযোগিতা করতে সোমবার দুর্গাপুর থানায় আসেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এ দিন তিনি দিল্লি থেকে বিমানে অণ্ডালে আসেন। থানায় যাওয়ার পথে তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশে আমি পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছি।’’

Advertisement

কিছু দিন আগে সৌমিত্র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর নামে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন থানায়। তারই একটিতে এ দিন তাঁকে জেরা করার কথা জানিয়েছিল বাঁকুড়া পুলিশ। সে জন্য এ দিন তিনি দুর্গাপুর থানায় আসেন। তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশে সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। বাঁকুড়া পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছি।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদের এক আত্মীয়েরই ১২ জানুয়ারি দায়ের করা চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন নেন সাংসদ। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ৫ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না। তবে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। এ দিন বাঁকুড়ার ডিএসপি দিলীপ কর্মকার, বড়জোড়া থানার আধিকারিক অরূপ সরকার-সহ তিন জনের একটি দল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়।

Advertisement

থানা থেকে বেরিয়ে সাংসদ জানান, পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছেন তিনি। সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি সৌমিত্র। অভিযোগের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ আছে কি না, সে নিয়ে সৌমিত্র কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘যা জবাব দেওয়ার তা রাজনীতির মাঠেই দেব।’’

সৌমিত্রের আইনজীবী সোমনাথ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘সাংসদের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র রাখা সংক্রান্ত একটি মামলা করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। বড়জোড়া এবং বাঁকুড়া সদর থানায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আদায় ও পাত্রসায়র থানায় বালি চুরি সংক্রান্ত একটি মামলা রয়েছে।’’ তিনি জানান, বিষ্ণুপুর ও পাত্রসায়রের মামলাগুলি পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে করেছে। বড়জোড়ার মামলাটি করেছেন সাংসদেরই এক আত্মীয়। বাঁকুড়া সদর থানায় মামলাটিও এক ব্যক্তি করেছেন। সোমনাথবাবু দাবি করেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ, সাংসদকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে ওঁর বাঁকুড়া জেলায় ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’’ বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘তদন্তকারীরা দুর্গাপুরে গিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন