বিয়ের পর সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় এবং নমিতা দাস। —নিজস্ব চিত্র।
সমাজমাধ্যমে বন্ধুত্ব, সেখান থেকে প্রেম। শেষমেশ বিয়েটা করেই ফেললেন। তবে দুই যুবতীর বিয়ে ঘিরে শোরগোল বীরভূমের দুবরাজপুরে।
বীরভূমের খয়রাশোলের বাসিন্দা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় এবং মালদহের নমিতা দাস, দিন সাতেক আগে মন্দিরে বিয়ে করে মঙ্গলবার সকলকে সেই সংবাদ দিলেন সদ্য বিবাহিত যুগল।
নমিতার বয়স ৩১ বছর। বৈবাহিক জীবন তাঁর ভাল যায়নি। কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। চার বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে তাঁর। অন্য দিকে, ২৮ বছরের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়েরও বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের ৮ বছরের কন্যা থাকে বাবার কাছে। দুই বিবাহবিচ্ছিন্নার পরিচয় ইনস্টাগ্রামে। সেখান থেকেই প্রেম এবং পরিণয়।
কয়েক দিন আগে সুস্মিতা মালদহ থেকে চলে এসেছিলেন বীরভূমে। দেখা করেন সুস্মিতার সঙ্গে। তার পর দুবরাজপুরের একটি শিবমন্দিরে সিঁদুরদান করে বৈবাহিক জীবনে পা রেখেছেন তাঁরা। নবদম্পতি বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে আমাদের সম্পর্কে। তখনই বিয়ে করব বলে ঠিক করেছিলাম। আইনি ব্যবস্থা সেরে সপ্তাহ খানেক আগে মন্দিরে বিয়ে করছি।’’
নমিতা কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। বাবা-মা প্রয়াত। সুস্মিতা জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মা বিয়ে মেনে নিয়েছেন। এখন কলকাতায় পাকাপাকি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুগলে।
দুই মহিলার বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। নবদম্পতিকে দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। অনেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কেউ কেউ কটাক্ষ করছেন। তবে সে সব গায়ে মাখছেন না নমিতা-সুস্মিতা।