আবাস প্রকল্পে ৭০ হাজার বাড়ি জেলায়

ওই সরকারি প্রকল্পের কাজে গতি আনতে এবং প্রকল্প সম্পর্কে আরও বেশি জনসচেতনতা গড়তে উদ্যোগী হল বীরভূম জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ জানিয়েছে, বাংলা আবাস যোজনা সপ্তাহ পালনের শেষে বড় মাপের একটি অনুষ্ঠান হবে আজ, ১৩ অগস্ট। সে দিন ঘোষণা 

Advertisement

দয়াল সেনগুপ্ত

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ০৭:১০
Share:

চলতি অর্থবর্ষে জেলায় সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি হবে প্রায় ৭০ হাজার— প্রশাসনিক সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, তার মধ্যে ৯৫ শতাংশ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে প্রথম কিস্তির টাকাও।

Advertisement

ওই সরকারি প্রকল্পের কাজে গতি আনতে এবং প্রকল্প সম্পর্কে আরও বেশি জনসচেতনতা গড়তে উদ্যোগী হল বীরভূম জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ জানিয়েছে, বাংলা আবাস যোজনা সপ্তাহ পালনের শেষে বড় মাপের একটি অনুষ্ঠান হবে আজ, ১৩ অগস্ট। সে দিন ঘোষণা করা হবে ওই প্রকল্পে জেলার সেরা তিনটি গ্রামের নামও।

২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫-তম বর্ষ পালন করবে দেশ। তার আগেই দেশের সব গৃহহীন মানুষের জন্য বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সে কথা ঘোষণা করেছিলেন। ‘প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা আবাস যোজনা’ নাম ছিল তার। তা বদলে হয় ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’। কেন্দ্র ও রাজ্যের অংশীদারিত্বে ওই প্রকল্পে প্রতি বছর গ্রামীণ এলাকায় ১ কোটি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। ২০১২ সালে আর্থ-সামাজিক ও জাতিগত সমীক্ষা অনুযায়ী যে সব পরিবারের পাকাবাড়ি নেই, সেগুলিকে চিহ্নিত করা হয়। সরকার জানায়, সে সব পরিবারকে চার কিস্তিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তা ছাড়াও উপভোক্তা পাবেন ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ৯০ দিনের মজুরি।

Advertisement

‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র বাংলা সংস্করণ ‘বাংলা আবাস যোজনা’। ওই প্রকল্পে রাজ্যে পাঁচ লক্ষ গৃহহীন পরিবারকে একই দিনে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল গত জানুয়ারিতে। ৩০ জানুয়ারি ‘বাংলার আবাস বিতরণ দিবসে’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হয় কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। বীরভূমেও একই ভাবে বাংলার আবাস বিতরণ দিবস পালন করা হয়েছিল।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই কর্মসূচিতে চলতি অর্থবর্ষে জেলা পেয়েছে ৬৯ হাজার ৭০৭টি বাড়ি। ১৯টি ব্লকের উপভোক্তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির টাকার কিস্তিও পৌঁছে গিয়েছে।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দীপেন্দু বেরা জানিয়েছেন, ওই পরিবারগুলি যাতে দ্রুত বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করেন, তা নিয়ে সচেতনতার প্রচার চলছে। বাকি থাকা অন্য উপভোক্তারাও

যাতে টাকা পেয়ে যান তা-ও দেখা হচ্ছে। ওই প্রকল্প থেকে কারা, কী ভাবে উপকৃত হতে পারেন তা আম-জনতাকে জানাতে হরেক কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেলা পরিষদ জানিয়েছে, কয়েক দিন বাংলা আবাস যোজনা বিষয়ক ট্যাবলো গ্রামে গ্রামে ঘুরছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বীরভূমে সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছিলেন ৪০ হাজার মানুষ। সেই বাড়িগুলির মধ্যে ৮০ শতাংশের কাজ শেষ করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ সালে বাড়ি পেয়েছিলেন ২৪ হাজার মানুষ। সেই দফার ৯০ শতাংশ বাড়ির কাজ শেষ। চলতি অর্থবর্ষে বাড়ির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তাই অর্থবর্ষের মাঝামাঝি সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন