ক্লাব অনুদানের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল ময়ূরেশ্বরের গচেপাড়া গ্রামে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ময়ূরেশ্বরের গচেপাড়া জনকল্যাণ ক্লাবের নামে ২ লক্ষ টাকা অনুদান বরাদ্দ হয়। সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সম্পাদক কাজিরুল সেখের বিরুদ্ধে। কাজিরুল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ক্যাশিয়ার হাসিরুল সেখ এবং অন্য সদস্যরা টাকা আত্মসাৎ করে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’ ওই চাপানউতোরকে কেন্দ্র করে এ দিন গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে কয়েক জন ক্লাব সদস্য কাজিরুলের বাড়িতে যায়। সে সময় কাজিরুল বাড়িতে ছিলেন না। উভয় পক্ষের মহিলাদের মধ্যে ঝামেলা বেঁধে যায়। তাতেই দু’পক্ষের পাঁচ জন আহত হন। ইনসান শেখ, মানোয়ার সেখ, সম্রাট সেখরা বলেন, ‘‘ক্লাব অনুদানের টাকা তুলে সম্পাদক নিজে বাড়ি করে নিয়েছেন। প্রশাসনের সকল স্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই আমরা সেই টাকার ব্যাপারে কাজিরুলের খোঁজে ওর বাড়িতে যাই। তখন ওঁর স্ত্রী-সহ বাড়ির লোকেরা আমাদের উপর চড়াও হয়। তাতে আমাদের দু’জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’’
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে কাজিরুল দাবি করেন, ‘‘ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা থাকে সম্পাদক আর ক্যাশিয়ারের নামে। তা হলে আমি কী করে টাকা আত্মসাৎ করলাম। আসলে আমিই ক্যাশিয়ারকে বাড়ি তৈরির জন্য চেকে সই করে দিয়েছিলাম। তারপর ওরা সেই টাকা তুলে আত্মসাৎ করে। আমি সেটা নিয়ে সরব হয়েছিলাম বলেই ওরা এ দিন আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বোন আটকাতে গেলে তাকেও
হেনস্থা করে। এমন কী আমার বৃদ্ধ বাবাকেও বেধড়ক মারধোর করে। তিন জনকেই সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’’
ক্যাশিয়ার হাসিরুল সেখ অবশ্য বলেন, ‘‘ওই টাকা তোলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমি কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকি। আমার অবর্তমানে সই জাল করে টাকা তোলা হয়েছে। বিষয়টি জানার পরই লিখিত ভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই অভিযোগ জানায়নি।